রহমত বরকত নাজাতের মাস – পবিত্র মাহে রমজান

আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ জাকির শাহ্ নকশ্‌বন্দি মোজাদ্দেদি

শরিয়ত ও তরিকতের দৃষ্টিতে মাহে রমজানের গুরত্ব : এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে সূরা বাকারাহ্ ১৮৩-১৮৫ নং আয়াতে আল্লাহতা’আলা এরশাদ করেন: ইয়া আইয়্যুহাল্লাযী-না আ-মানূ কুতিবা ‘আলাইকুমুছ্ ছিয়া-মু কামা-কুতিবা ‘আলাল্লাযীনা মিন্ ক্বব্লিকুম্ লা’আল্লাকুম তাত্তাক্বূন্। আইয়্যা-মাম্ মা’দূদা-ত; ফামান্ কা-না মিন্কুম মারীদ্বোয়ান্ আও ‘আলা-সাফারিন্ ফা’ইদ্দাতুম্ মিন্ আইয়্যা-মিন্ উখর;অ’আলাল্লাযীনা ইয়ুত্বীক্বূ নাহূ ফিদ্্ইয়াতুন্ ত্বোয়া’আ-মু মিস্কীন্;ফামান্ তাত্বোয়াও য়্যা’আ খইরন্ ফাহুওয়া খইরুল্লাহ্; অআন্ তাছূমূ খইরুল্লাকুম্ ইন কুন্তুম্ তা’লামূন্। শাহরু রমাদ্বোয়া-নাল্ লাযী উন্যিলা ফীহিল্ ক্বুর্ আ-নু হুদাল্ লিন্না-সি অবাইয়্যিনা-তিম্ মিনাল্ হুদা-অল্ ফুরক্বা-নি ফামান্ শাহিদা মিন্কুমুশ্ শাহর ফাল্ইয়াছুম্হু অমান্ কা-না মারীদ্বোয়ান্ আও ‘আলা-সাফারিন্ ফা’ইদ্দাতুম্ মিন্ আইয়্যা-মিন্ উখর; ইয়ুরীদুল্লা-হু বিকুমুল্ ইয়ুস্রা অলা-ইয়ুরীদু বিকুমুল্ ‘উস্র অলিতুক্মিলুল্ ‘ইদ্দাতা-অলিতুকাব্বিরুল লা-হা ‘আলা-মা-হাদা-কুম্ অলা’আল্লাকুম্ তাশকুরূন্।

অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার, গণনার কয়েকটি দিনের জন্য। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে, অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোযা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিস্কীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সঙ্গে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি রোযা রাখ, তবে তা তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে।

যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য রোজা সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না, যাতে তোমরা গণনা পূরণ করে এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার জন্য আল্লাহতা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।

ক্বালান নাব্বিয়্যু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কুল্লু আমালিবনী আদামা ইউদাইফুল হাছানাতু বিয়াআস্রী আমছালীহা ইলা সাব-ই মিয়াতী দি’ফীন ক্বালাল্লাহু তা’য়ালা ইল্লাছ ছাওমু ফা-ইন্নাহু লি ওয়া আনা আজযিবিহী ইয়াদাউ শাহওয়াতাহু ওয়া তয়ামাহু মিন আজলি লিছ ছাইমি ফারহাতানি। ফারহাতুন ইনদা ফিৎরিহী ওয়া ফারহাতুন ইনদা লিক্বাই রাবিহ্। অলা খালুফু ফামিছ ছইমি আতইয়াবু ইনদাল্লাহী মির রিহীল মিসকী। ওয়াছ ছিয়ামু জুন্নাতুন। ফাইযা কানা ইয়াত্তমু ছাত্তমী আহাদী কুম ফালা ইয়ারফুছ ওয়ালা ইয়াসখাব, ফাইন সারবাহু ফাল ইয়াকুল ইন্নিম রাউন ছ-ইমুন। [রাওয়াহুম সাইখান]

অথাৎ : রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের ছওয়াব দশগুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করে দেওয়া হয়। আল্লাহ বলেন, কিন্তু রোজা এর উর্ধে কেননা বান্দাহ আমারই সন্তুষ্টি লাভের জন্য যৌন সম্ভোগ ও খানাপিনা ছেড়ে দেয়, সুতরাং আমি এর পুরস্কার দিব। রোজাদারের দুটি আনন্দ, প্রথম: ইফতারের সময়, দ্বিতীয়: আল্লাহ সঙ্গে মোলাকাতের সময়। নিশ্চয়ই রোযাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহর কাছে কস্তুরীর সুগন্ধের চেয়ে আদরণীয়। রোযা ঢাল স্বরূপ, তোমাদের কেহ যেন রোযার দিনে জঘন্য কাজ ও বিবাদ বিসস্বাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় বা তার সঙ্গে বিবাদ করতে চায়, তবে সে যেন বলে দেয় যে, আমি রোজাদার। (বুখারী, মুসলিম)

(Visited 724 times, 1 visits today)
Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *