আবদুল খালেক সিদ্দিকী
ইয়া আল্লাহু! ইয়া রাহ্মানু! ইয়া রাহিম! ইয়া রাহ্মাতাল্লিল আলামীন!
আল্লাহ্র হাবিব, রাহমাতাল্লিল আলামীন, হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা আহাম্মদ মুজতবা (সাঃ) কে তাঁর সাহাবিগণ তাজিম করতেন। সেই শিক্ষা অনুযায়ি আমার মুর্শিদক্বেবলা খাজাবাবা আবু কাশেম চিশতি, নিজামী- গোল্ডবী, পীরবাবা বাঙ্গালী এবং আমার মুর্শিদুল-আলা, দয়াল খাজাবাবা হযরত জাকির শাহ্ নকশবন্দি মুজাদ্দেদী কুতুববাগী ক্বেবলাজান হুজুরের কদম মুবারকে তাজিমে লক্ষ কোটি চুম্বন পেশ করছি। বাবাজান, আপনি দয়া করে কবুল করুন এ অধম নালায়েক রুহানী সন্তানকে এবং কিছু লেখার মদদ দান করুন। আমীন।
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন, সর্বশক্তিমান, একক সত্তায় অনাদিকাল বিরাজমান ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তিনি একাকিত্ব অনুভব করলেন। আকুল হয়ে প্রেমখেলার সঙ্গী সৃষ্টির আনন্দ অনুভব করলেন। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর নূরের হৃদপি- থেকে টুকরা নিয়ে তাঁর খায়েশের আবেগময় সুরত আকৃতিতে নূরে মুহাম্মদী সৃষ্টি করলেন। নিজের প্রেমখেলার বাগানে গোপনে তাজিমে হেফাজত করলেন। একসময় নূরে মুহাম্মদী থেকে নূরের ছোঁয়া নিয়ে সৃষ্টি করলেন ফেরেশতাকুল, জ¦ীন জাতিসহ সারা মাখলুকাত- কুলকায়নাত। এবার আরশে আজীমকে শ্রেষ্ঠতম মঞ্চ সাজিয়ে মালিকানার নামফলক টাঙিয়ে দিলেন ‘লা ইলাহা ই’ল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সঃ)।’ শুরু হবে খেলা, আসর প্রস্তুত। আসরের খেদমতে জ্বীন, ফেরেশতা প্রস্তুত। পুরস্কারের জন্য বেহেশত আর তিরস্কারের জন্য দোজখও প্রস্তুত। আল্লাহু আকবর এবার খেলোয়াড় সৃষ্টি করার জন্য পরমর্শ সভা ডাকলেন। হাজির হলেন ফেরেশতাকুল, আর অদৃশ্যে থাকলেন সংবিধান-ধারক-পর্যবেক্ষক। আল্লাহ্ প্রস্তাব করলেন, ‘ইন্নি জা’ ইলুন ফিল আরদি খালিফা- (জমিনে তথা পৃথিবীতে আমার খলিফা বা প্রতিনিধি সৃষ্টি করে প্রেরণ করতে চাই।) মৃদুগুঞ্জরণে ফেরেশতাদের প্রতিবাদের ঢেউ উঠলো। আল্লাহ্তায়া’লা ফেরেশতাদের শাসালেন, ‘ইন্নি আ’লামু মা-লা তা’লামুন- (আমি যাহা জানি তোমরা তা জান না)।’ আল্লাহ্তায়া’লা কৌশল করলেন, ‘ওয়া আল্লামা আদামাল আসমাআ কুল্লাহা, (আদম (আঃ)কে সর্ববিদ্য -দিব্যজ্ঞান দান করলেন।) এবার ফেরেশতাদের আদেশ করলেন, ‘আমবিয়ূনী বিআসমায়ী, হাউলা-য়ি ইন্ কুন্তুম সাদিক্বীন।’ এগুলোর নাম বল, তোমাদের জ্ঞানের বড়াই দেখাও)।’ ফেরেশতাগণের কাতরস্বরে জবাব, ‘লা-ইল্মালানা ইল্লা মা আল্লাম্তান। (আল্লাহ্ গো, মাওলা গো, তুমি আমাদেরকে কর্মক্ষেত্রে যা’ কিছু শিক্ষা দিয়েছ, তার বেশি কিছুই আমরা জানি না)।’ আল্লাহ তা’লার নির্দেশে হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম তাদেরকে সবকিছুই শিখিয়ে দিলেন। তিনি ফেরেশতাকুল ও জ্বীন জাতির উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলেন।
হযরত আদম (আঃ) শ্রেষ্ঠত্ব পেলেন কোন বিদ্যায়! শ্রেণিকক্ষে লেখাপড়া করে! না-কি যে নামগুলো ফেরেশতাগণকে শিখালেন, সেগুলোর কাছে গিয়ে দেখে দেখে শিখে! না-কি আল্লাহ্ সোবহানাহু’তায়ালা হযরত আদম আলাইহিসসাল্লামের ক্বলবে তাঁর কুদরতি শাহাদৎ অঙ্গুলি স্পর্শ করে সর্ববিদ্যা-দিব্যজ্ঞান ঢুকিয়ে দিলেন! মানব জাতির অসীম বিদ্যা-দিব্যজ্ঞান এখানেই শুরু। আল্লাহ্ তাঁর হাবীব আর মনোনীত বা ক্ষমতাপ্রাপ্তগণের শাহাদাৎ অঙ্গুলির চাবির সাহায্যে ক্বলবের দরজার তালা খুলে দিয়ে, যে দিব্যজ্ঞান অর্জিত হয়, তা-ই এলমে তাসাউফ। এটাই মূল বিদ্যা বা আসল বিদ্যা, যা’ ছাড়া রাসুল (সঃ)-এর সাক্ষাৎ পাওয়ার উপায় নাই। আর রাসুল (সঃ)-কে না পেলে আল্লাহ্কে পাওয়ার কোন উপায় নাই। আল্লাহ ও রাসুল না পেলে বেহেশত পাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
‘ইক্রা, বি-ইস্মি রাব্বিকাল্লাজি খালাক্, (পড়, তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।) এটি বাহ্যিক বা জাগতিক জ্ঞান শিক্ষার প্রথম সবক, যা চোখে দেখে দেখে, কানে শুনে শুনে, বই-কিতাব পড়ে পড়ে, কলমে লিখে শেখাতে হয়-শিখতে হয়। যেটুকু দেখা যায় যা কিছু শুনা যায়, সেটুকুই শুধু শেখা যায়। আল্লাহ্তায়া’লা জ্ঞানে ও গুণে শ্রেষ্ঠ যাঁরা তাঁদেরকে তাজিম বা সম্মান করার শিক্ষা দেয়ার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলেন, ‘ওয়া এজ ক্বলনা লিল মালাইকাতিস্ ্জুদু লি আদামা—(আদমকে সিজদা কর।) ‘ফাসাজাদু-ইল্লা ইবলিস‘ (সবাই সিজদা করল, ইবলিস করল না।) ‘আবা ওয়াসতাকবারা ওয়া কানা মিনাল কাফিরীন, (অস্বীকার করল- অহংকার করল এবং কাফের হয়ে গেল।) এখান থেকেই শুরু বেহেশত ও দোজখের বাসিন্দাদের গোত্রক্রম বা পৃথক গোত্র।
মহান আল্লাহ্ তাঁর মাশুক নূরে মুহাম্মদীকে বৃহত্তম আসরে সায়ের করতে পাঠাবেন। তার প্রস্তুতির শেষ পর্বটি ছিলÑ ‘খালাকাল্লাহু আদামা আলা সুরাতিহী, (আল্লাহর কুদ্রতি নিজ সুরতে হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা।) আদমরূপী দেহতেই আপন মাশুককে অবস্থান করাবেন; তাই আদম (আঃ) কে সুরক্ষিত অপার-অনন্ত শান্তিময় বেহেশতে অবস্থান করালেন। ফেরেশতাকুলের মধ্যে মকরম তথা ইবলিশ সবচেয়ে বেশি এবাদতকারী- সিজদাকারী। কিন্তু লানত পাওয়ার পর, তার এবাদতের বিনিময়ে আল্লাহ্র কাছে দাবী করলো; কুল কায়ানাতসহ হযরত আদম-হওয়া (আঃ)-এর বংশধরগণের শিরায় শিরায় বিচরণ করে তার অনুসারী বানানোর ক্ষমতাপ্রাপ্তির। মহান আল্লাহ্ তাঁর মাশুকের অনুসারীদের অতীব কষ্ট-যাতনা হবে জেনেও, আশেকের দাবী প্রত্যাক্ষাণ করলেন না। দাবী মঞ্জুর করলেন।
ইবলিশ তার ক্ষমতা খাটিয়ে আদম-হাওয়া (আঃ)-এর সঙ্গে নানারকম অভিনয় করে তাঁরদেরকে আল্লাহ্র আদেশ লংঘনকারী বানালো। তাঁরা বেহেশত থেকে পৃথিবীর দুই জায়গায় দুইজন নিক্ষিপ্ত হলেন। আল্লাহর আদেশ লংঘন করার অপরাধবোধ এবং একে অপরকে হারানোর বিরহে, ‘রাব্বানা জালামনা আন্ফুসানা ওয়া ইল্লাম- তাগ্ফিরলানা, ওয়া তারহামনা লানা কুনান্না মিনাল খাসিরীন।’ (প্রভু গো, আমরা নিজেদের উপর জুলুম করেছি-অপরাধ করেছি এবং অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যদি ক্ষমা না কর; তবে আমরা মহা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।) এভাবে তিন শত ষাট বছর অনেক কান্নাকাটির পর মহান দয়ালু আল্লহ্তায়া’লা দয়াবান হলেন, কিন্তু ক্ষমা পাওয়ার জন্য আরশে আজিমের নামফলক দেখিয়ে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সঃ) পড়তে বললেন।’ অর্থাৎ, এত শত বছর শুধু ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ নাম জপে ক্ষমা চেয়েছেন, এবারে সেই সঙ্গে তাঁর প্রিয় হাবিবের উছিলা নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আদেশ দিলেন। হযরত আদম (আঃ) তা-ই করলেন মহান আল্লাহ খুশি হয়ে ক্ষমা মঞ্জুর করলেন এবং বাবা হযরত আদম ও মা হাওয়া (আঃ)-এর সঙ্গে দেখা মিললো।
এক শ্রেণীর মুসলমান শুধু, ‘লা ই’লাহা ইল্লাল্লাহু’ পর্যন্ত পড়েন, কিন্তু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলতে বা পড়তে তাদের যেন ইজ্জতহানী হয়; তারা একবারও ভাবেন না যে, তারা বড়জোর গড়ে ষাট বছর বাঁচবেন এবং হযরত আদম ও বিবি হওয়া (আঃ)-এর মত, শত শত বছর জীবন ধারণ ও তাঁদের মত বিরহে ক্ষমা প্রার্থনা করার এত ধৈর্য্যশক্তি তাদের নেই। পাঠকবৃন্দ, ভাবুন দেখি, ইবলিশের অনুসারী বা দলভুক্ত হওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় কি তাদের আছে?
আরেক শ্রেণির লোক অপপ্রচার করে যে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাদের মতই মানুষ হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছেন, সংসার জীবন-যাপন করেছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন। অতএব, তিনি তাদের মতই সাধারণ মানুষ। ‘নাউজুবিল্লাহ্ িমিন্ জালিক’ আল্লাহ্ গো, ওই শ্রেণির মানুষরূপী জাহেলদের নিকট থেকে আমাদের ঈমানকে মজবুত করো- বাঁচিয়ে রাখো।
হাদিস শরীফে এসেছে, হযরত মা আমিনা (রা:) বর্ণনা করেন, রাসুল (সঃ) কে গর্ভে ধারণ করার সময় অন্য মায়েদের মত তাঁর শরীরিক কোনই পরিবর্তন ছিলনা। তবে তিনি তাঁর দেহে ‘এক রহমত পি-ের’ অস্তিত্ব অনুভব করতেন। এ-সময় রাসুলুল্লাহর পিতা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ (রা:) ব্যবসার কাজে সিরিয়ায় অবস্থান করছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে দয়াল নবীজির দাদা, হযরত আবদুল মুত্তালেব, মা আমেনার দেখাশুনা করতেন। এক রাতে হযরত মা আমেনা (রা:) একটি স্বপ্ন দেখে ব্যস্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে হযরত আবদুল মুত্তালেব (রা:)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে স্বপ্ন বর্ণনা করলেন, ‘আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমার নাকের ফুল, কানের দুল হারিয়ে গেছে এবং এ মুহূর্তে আমি আমার শরীরে রহমত পি-ের উপস্থিতি অনুভব করছি না।’ স্বপ্নের বর্ণনা শুনে হযরত আবদুল মুত্তালেব প্রচ– মর্মাহত বিচলিত হয়ে উঠলেন; নিঃশব্দে ভাঙা হৃদয়ে মা আমেনাকে বললেন, ‘মা গো, কী বর্ণনা তুমি শুনালে আমাকে! আমাদের মহা সর্বনাশ হয়ে গেছে। তোমার স্বপ্নের তাবির হচ্ছে, আমার জানের জান, কলিজার টুকরা, নয়নের মণি আর তোমার ‘রহমত পি-ের’ পিতা, তোমার প্রাণ-প্রিয়তম স্বামী, আব্দুল্লাহ্ আর ইহধামে নেই; তোমার আমার কাছ থেকে চির বিদায় নিয়ে চলে গেছে। (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন।) আর তোমার দেহ থেকে ‘রহমত পি-’ ঐ সিরিয়াতে চলে গেছে। হে বিপদগামী, পথহারা, ভ্রান্ত ধারণা পোষণকারী জ্ঞান-পাপী মানবসকল, দোজাহানের নবী, নূরের নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা আহম্মদ মুজ্তবা (সঃ), কি আমাদের মতই সাধারণ মানুষ! আসুন, আমরা আল-কোরআন, সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্র আদেশ-নির্দেশ সঠিকভাবে অধ্যয়ন করি, পূর্ণাঙ্গভাবে- পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিটি হরফের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করি এবং সে অনুযায়ী আমল করি।
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন নূরে মুহাম্মদী সৃষ্টি থেকে সিনা-ব-সিনায় আদম ও হাওয়া (আঃ)-এর বংশ পরম্পরায় হযরত আব্দুল্লাহ্র পেসানী হয়ে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর তর্জনী মোবারকের ফয়েজ আহলে বায়েত তথা বেলায়েতের অলি-আউলিয়া, পীর-মাশায়েখ মুত্তাক্বীনগণের ক্বলবে বহমান আছে এবং থাকবে। এটি ‘জালিকাল কিতাবু লা-রাইবা ফিহি’ এবং এটি ‘হুদাল্লিল মুত্তাক্বীন’, মুত্তাক্বীনদের জন্য সঠিক পথ। ‘মুত্তাক্বীন’ হওয়া ছাড়া মুসলমানদের নাজাত পাওয়ার কোন উপায় আছে কি! এখানে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ’হুদাল্লিল মুস্লিমীন’ বা ’হুদাল্লিল ইনসান’ বা ’হুদাল্লিন্নাস’ বলেননি বরং বলেছেনÑ হুদাল্লিল মুত্তাক্বীন’ ।’ এখন প্রশ্ন হল, ‘মুত্তাক্বীন’ ’ কে! যাঁরা ‘আলিফ লাম মীম’ কিতাবের উপর সন্দেহ পোষণ করেননি; অবজ্ঞা-অবহেলা করেননি বরং ‘আল্লাজিনা ইউ’মিনুনা বিল গায়িব’ বরং যারা গায়েব বা অদৃশ্যকে বিশ্বাস করে; আল-কোরআনে বর্ণিত আল্লাহর আদেশ-নিষেধ এবং হাদিস শরিফে বর্ণিত রাসুল (সঃ)-এর নীতি-আদর্শ ও জীবন ধারার মত, যারা জীবন-যাপন করেন তারাই মু’মিন ‘মুত্তাক্বীন’ ’ বটে।
এই ‘গায়েব’ বলতে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন নিজে এবং নূরে মুহাম্মদী থেকে সিনা-ব-সিনায় হযরত আদম ও হাওয়া (আঃ)-এর বংশ পরম্পরায় দয়াল নবীর বন্ধু অলি-আউলিয়া- পীর-মাশায়েখগণের ক্বলব-ব-ক্বলব। আর লিখিতভাবে ‘আলিফ-লাম-মীম’। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের আল কুরআনে প্রকাশিত আদেশ নিষেধ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করে এবং এলমে তাসাউফ অর্জন করে বেলায়েতপ্রাপ্ত অলি-আউলিয়া, পীর-মুর্শিদ-মাশায়েখগণের ক্বলবের সঙ্গে মিশে একাত্ম হয়ে আল্লাহ্ ও তাঁর হাবিব রাসুলে (সঃ) কে পাওয়ার পথে নিজেকে বিলীন করে দেয়, তারাই ফানা ফিল অযুদ, ফানা ফিশ্-শায়েখ, ফানা ফি-র-রাসুল, ফানা ফিল্লাহ-র সঠিক রাস্তায় চলমান আছেন।