রাহাত খান
খাজাবাবা কুতুববাগী হলেন বর্তমান জামানার একজন খাসঅলিআল্লাহ! আমাদের সৌভাগ্য এমন একজন কামেলের মুরিদহতে পেরেছি! তাঁর কাছ থেকে বেলায়েতের শিক্ষা নিতে পেরেছি।আমি মনে করি, যাঁরা অলি-আল্লাহ তাঁরাই জানেন যে, আল্লাহরসঠিক পথ কোনটা? তো, আমরা যারা মিডিয়াতে আছি, আজআমাদের সৌভাগ্য যে, ওনার সামনে বসতে পেরেছি! হুজুরকেবলাজানের এই যে পবিত্র ওরছ শরীফ ও বিশ^জাকের ইজতেমা,এ মহতী ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সফল করতে আমরা কে কী করতেপারি, সে চেষ্টা আপনারা করবেন। একদম খাস দিলে করবেন।এখানে বাধ্যবাধকতার কিছু নাই। যে যেই পত্রিকা বা ইলেক্ট্রোনিকমিডিয়ায় আছেন তিনি বা তারা হুজুর কেবলাজানের এই দ্বীনিদাওয়াত, মানব কল্যাণের মহৎ বাণী বাংলাদেশের সমস্ত মানুষেরকাছে পৌঁছে দিবেন। আমি জানি যে, এখানে আজ অনেকবিখ্যাত, অনেক প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক এসেছেন, একেবারে বিশ্বাস থেকেই আপনারা কেবলাজানের সেবা করেন। এই যেওরছ শরীফ হচ্ছে, এতে ওনার কোন ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ারবিষয় নেই। তিনি রাসুলুল্লাহর সত্য তরিকার আদর্শ, সূফীবাদেরযে দীক্ষা, সেটা তিনি মানুষকে দেবেন। মানুষের আত্মশুদ্ধিঘটাবেন।বন্ধুরা আপনারা জানেন যে, এই যে সারা পৃথিবীতে একত্ববাদেরদীক্ষায় দীক্ষিত করার ব্যাপারে একমাত্র ভূমিকা হচ্ছে সূফীদের।সূফীরা যেখানেই গেছেন, সেখানেই ইসলামের মহা সৌন্দর্যমানবপ্রেমের আদর্শ তুলে ধরেছেন, কাজেই আমরা সূফীবাদেএকান্তভাবে বিশ^াসী। তাই কেবলাজানের সত্যবাণী এবংসূফীবাদের দাওয়াত প্রচারের জন্য যা কিছুকরা লাগে, দয়া করেআপনারা যে যার অবস্থান থেকে তা করবেন। আল্লাহ এবং তাঁররাসুল (সঃ) এর সত্যপথে আসার জন্য মানুষকে সচেতন করেতুলবেন, আর এটা বলারও কিছুনেই যার যার আন্তরিক অবস্থানথেকেই এই সৎ কাজ করবেন। আমরা আমাদের আত্মিকভালোলাগার প্রয়োজনেই তা করবো এবং আগামী ২৬ এবং ২৭জানুয়ারি ফার্মগেটে যে ওরছ মোবারকের আখেরী দোয়া হবেশুμবার বাদজুমা, ওইদিন ওখানে আমরা যাবো এবং সূফীবাদসম্পর্কে, আল্লাহর একত্ববাদ সম্পর্কে, দয়াল রাসুল (সঃ) ওইসলাম সম্পর্কে আমরা পীর কেবলাজানের কাছে থেকে কিছুশুনবো। আমার দৃঢ় বিশ^াস যে, ওখানে গেলে আমাদের মন প্রশান্তিলাভ করবে। বয়সের জন্য বলছি না, কিছুনিয়ম মেনেই চলতেহয়, কিন্তু কেবলাজানের জন্য আমার কোন নিয়ম নেই। তিনিআমাকে যখন যা আদেশ করবেন আমি পালন করবো। পীরকেবলাজান আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। আমিও তাঁকে অন্তরথেকে শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। সব সময় কেবলাজানকে বলি,কোরআন শরীফে আছে প্রত্যেক অলি-আল্লাহই কিছু মানুষকেবেহেশতে নিয়ে যেতে পারবেন, তাই আমরা যারা তাঁর মুরিদহয়েছি, তিনি আমাদেরকে সঙ্গে করেই নিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।আমরা কত গুনাহ করেছি, সে জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই সবসময়। কিন্তু সেই ক্ষমার পথ দেখাবেন নায়েবে রাসুল, শাহসূফীহযরত সৈয়দ জাকির শাহ কুতুববাগী হুজুর। তিনিই আমাদের পথদেখাবেন, তিনিই বলবেন যে, এদিকে যাও! আমরা তো ঠিক মতশরিয়তও পালন করতে পারছি না, মারেফতেও পৌঁছাতে পারছিনা। তাই পীর কেবলাজানের দোয়া চাই, আমরা যেন ইহকাল ওপরকালে শান্তিলাভ করতে পারি।বন্ধুগণ, আমি আর একটা কথা বলতে চাই, সেটা হলোÑ আমরাযদি মনেপ্রাণে কেবলাজানের উছিলা নিয়ে আল্লাহর কাছে কিছুচাইতে পারি, তবে আমার দৃঢ় বিশ^াস সেটা আল্লাহতায়ালা সফলকরবেন ইনশাআল্লাহ। আমি এও বলতে পারি যে, চারদিকেছড়িয়ে পড়বে কুতুববাগীর সুনাম। আল্লাহ মাফ করুন অনেকজায়গায় দেখেছি, তারা ধর্মকে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থে ব্যবহার করে,কিন্তু কুতুববাগ দরবারে এসে দেখলামÑ না, এখানে সেরকম কোনকিছুই নেই। কেবলাজান শুধুমানুষের কল্যাণ ও মানবতার সেবায়নিয়োজিত থাকেন দিন-রাত। তিনি ভীষণ বাস্তববাদী মানুষ। তাঁরপ্রগাঢ় জ্ঞানের কাছে এলে নিজেকে হারিয়ে ফেলি। সব ভুলে যাই,তখন নিজের যোগ্যতা বলে কিছু মনে থাকে না।শ্রুতিলিখন : সেহাঙ্গল বিপ্লব