মাওলানা মতিউর রহমান এছলাহী আল মোজাদ্দেদি
আমি মতিউর রহমান এছলাহী বাংলাদেশের অনেক দরবার শরীফে গিয়েছি। এ সমস্ত দরবার শরীফে গিয়ে কোনপ্রকার আত্মার শান্তি ও আল্লাহকে পাওয়ার কোন শিক্ষা পাইনি বা দেখিনি। আমার দেখা ওই সব দরবারের পীরসাহেবরা তাবিজ/কবজ, ঝাঁড়-ফুঁ, পানি পড়া, ডিম পড়া, ডাব পড়া, সুতা পড়া, তেল পড়া, কলম পড়া ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমি বর্তমানে এমন একজন কামেল ও মোকাম্মেল পীরের সান্নিধ্যে এসে, যে শিক্ষা পেয়েছি আর কোন দরবার শরীফে তা পাইনি। কুতুববাগ দরবার শরীফের পীরকেলাজানের শিক্ষা-দীক্ষা ও আদর্শ এমনই যে, তিনি কোনপ্রকার তাবিজ-কবজ, ঝাঁড়-ফুঁ, ডিম পড়া, তেল পড়া, কলম পড়া বা অন্য কোন পড়া দেন না। তবু দেখছি প্রতিনিয়ত কুতুববাগ দরবার শরীফে অনেক মানুষই বাবাজানের কাছে আসছেন, আবার কেউ কেউ তাদের আত্মশুদ্ধি-দিলজিন্দা, নামাজে হুজুরি অর্জন করাসহ আল্লাহকে পাওয়ার জন্য আসেন।
আমি গত ২০ বছর ধরে খাজাবাবা কুতুববাগী বাবাজানের সান্নিধ্যে আছি এবং দেখে আসছি যে, প্রতিনিয়ত এ পবিত্র দরবার শরীফে দেশ-বিদেশের অসংখ্য গরিব-দুঃখী, ধনী-মানী, দলমত নির্বিশেষ সকল ধর্মের অগণিত মানুষ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসেন এবং কেবলাজানের কাছে নালিশ দেন। যদি বাবাজান কারো নালিশ একান্তভাবে গ্রহণ করেন, তবেই বাবাজানের উছিলায় আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে তাদের সেই মকসুদ কবুল হয়। কুতুববাগ দরবার শরীফে এমন সত্যই আমি দেখে আসছি।
লেখক : খাদেম, কুতুববাগ দরবার শরীফ