(মহাপবিত্র ওরছ শরীফ ও বিশ্ব জাকের ইজতেমায় বয়ান করছেন শাহসুফি আলহাজ্ব মাওলানা হযরত জাকির শাহ্ নকশ্বন্দী মোজাদ্দেদী কুতুববাগী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলি) ক্বেবলাজান। পাশে আলহাজ্ব মোঃ জয়নাল আবেদীন)
লায়ন ড. কাজী ফিরোজা ইসলাম বিউটি
আমার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে গেলে এক কথায় বলা অনেক কঠিন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বললে শেষ হবে না। তারপরও প্রথম অনুভূতি দিয়েই শুরু করছি। তিনদিনের মাথায় শাহসুফি আলহাজ্ব মাওলানা হযরত জাকির শাহ্ নকশ্বন্দী মোজাদ্দেদী কুতুববাগী (মাঃজিঃআঃ) আমাকে যখন কিছু বলতে বললেন, তখন আমি কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ ছিলাম। আমি কী বলবো। আল্লাহর হুকুমে খাজাবাবার দয়ায় আমি বলতে শুরু করলাম। আমি তো মাত্র ঘবি ইড়ৎহ ইধনু কী বলবো? তবুও সাহস নিয়ে ৩ দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বর্ণনা করলাম। আমার বক্তব্য শুনে সবাই সন্তুষ্ট ও ধন্য করলো। খাজাবাবার দরবারে আমার ৩ দিনের মাথায়ই আমি হাঁটতে শুরু করি। এর আগে হাঁটতে পারতাম না। কারণ আমি ব্রেইন স্ট্রোক করায় বাম সাইড প্যারালাইসেস। তা হলে আমি খাজাবাবার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এখন তিন মাসের অনুভূতির কথা কিছু বলছি। কারণ আগে আমি এ ব্যাপারে তেমন কিছুই জানতাম না বা এখনও তেমন কিছু জানি না। তবে এখন যে অনুভূতি হচ্ছে তা হলোÑ শিক্ষা ছাড়া, আমল ছাড়া কোনো উপায় নেই। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এ বিশ্বের যা কিছু সুন্দর মহান কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ তা ছাড়া রাসুলপাক (সাঃ) এরশাদ করেনÑ ‘প্রত্যেক নর-নারীর জন্য বিদ্যা শিক্ষা গ্রহণ করা বা অর্জন করা ফরজ।’ হাদীস শরীফে যে বিদ্যার কথা বলা হয়েছে, তা হলো খোদাপ্রাপ্তির বিদ্যা। পুরুষ বা মহিলা সকলের জন্যই শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ। এই বিদ্যায় যাঁরা পরিপূর্ণতা লাভ করেছেন, তাঁরাই হলেন কামেল অলি-আল্লাহ বা পীর-মাশায়েক। তাই এই বিদ্যা শিক্ষা অর্জন করার জন্য মহিলাদেরও যে কোনো একজন কামেল পীরের সান্নিধ্যে যেতে হবে। ইলেম দুই প্রকার যথা, ১) জাহেরী ইলেম ও ২) বাতেনী ইলেম। জাহেরী ইলেম শিক্ষার পর আবার বাতেনী ইলেম শিক্ষা করতে হয়। তা না হলে পরিপূর্ণ মুমিন হওয়া যায় না। মহিলাদের মধ্যে জগৎ বিখ্যাত তাপসী ছিলেন হযরত রাবেয়া বসরী (রাঃ)। তিনিও ঐ যুগের শ্রেষ্ঠ কামেল অলি-আল্লাহ হযরত হাসান বসরী (রাঃ)-এর কাছে তরিকা গ্রহণ করেছিলেন। তথা বাইয়াত গ্রহণ করে মুরিদ হয়েছিলেন। মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা মায়েদার ৩৫ নং আয়াতে বলেন, তার অর্থÑ ‘হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভয় কর এবং তাঁকে পাওয়ার জন্য মধ্যস্থতাকারী বা উসিলা তালাশ কর।’ তাই বলবোÑ আমিও একজন মহিলা হয়ে আল্লাহর হুকুমে আরেফে কামেল, মুর্শিদে মোকাম্মেল, মোজাদ্দেদে জামান খাজাবাবা শাহসুফি আলহাজ্ব মাওলানা হযরত জাকির শাহ্ নকশ্বন্দী মোজাদ্দেদী কুতুববাগী (মাঃজিঃআঃ) ক্বেবলাজানের নিকট তরিকা গ্রহণ করেছি। এই তরিকা গ্রহণের পর থেকে আমি অনেক শান্তি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে কিছুটা পারছি বলে আমার মনে হচ্ছে। এটা আমার বিশেষ অনুভূতি বলে মনে করি। তাছাড়া খাজাবাবার নছীহতবাণী পড়ে অনেক কিছুই শিখেছি। সত্যিকার অর্থেই ‘সুফিবাদই শান্তির পথ’ -খাজাবাবা কুতুববাগী। অর্থাৎ সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। যে মূল্যবান সময় আমাদের জীবন থেকে দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, সেই মূল্যবান সময়কে অর্থবহ করার জন্য প্রত্যেকের উচিত নিজেকে চেনা বা আত্মাকে জানার চেষ্টা করা। আত্মাকে জানার জন্য সাধনা করতে হয়। সক্রেটিসের মতো বিশ্ব বিখ্যাত দার্শনিক-প-িৎতও অমর সেই সত্যই উচ্চারণ করেছেন, Know Thyself অর্থাৎ নিজেকে জানো। তাই আমি বলব, এখনও সময় আছে, খাঁটি মুসলাম হোন। আর এই খাঁটি মুসলমান হতে গেলে কুতুববাগ দরবার শরীফে এসে খাজাবাবার তরিকা গ্রহণ করুন। কারণ সুফিবাদই একমাত্র নিষ্ঠার শিক্ষা দেয়, আদবের শিক্ষা দেয়, সুফিবাদে এলে মানুষ হিংসা-বিভেদ ভুলে যায়, তারা ভাবুক ও প্রেমী হয়, তারা আল্লাহমুখী হয়, অন্যের দোষ তালাশ করার আগে নিজের দোষ তালাশ করে, মা-বাবার খেদমত করে, ওস্তাদ-গুরুজনকে ভক্তি-তাজিম করে, তারা নামাজী হয়, রোজাদার হয়, মানবসেবা করে, ভূখা (অনাহারী) মানুষকে খানা খাওয়ায়, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দান করে, নিজের আত্মা শুদ্ধ করার চেষ্টা করে, শুদ্ধ মানুষ হওয়ার অঙ্গীকার করে। আমি খাজাবাবা কুতুববাগী ক্বেবলাজানের কাছে না এলে এর কিছুই জানতাম না। তাই আমি সকল নারী পুরুষকে এই সুফিবাদের সুশীতল ছায়াতলে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আর আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজের আত্মাকে আলোকিত করার জন্য এবং প্রতিটি মানুষকে শুদ্ধ মানুষ হওয়ার জন্য সারা পৃথিবীতে ‘সুফিবাদই শান্তির পথ’, এই বাণী পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রত্যেককেই চেষ্টা করতে হবে। তবেই আমাদের চেষ্টার সফলতা আসবে। আল্লাহ আমাদের সফলতা অর্জনের তৌফিক দান করুন। আমাদের সকলকেই সুস্থ রাখুন। আমাদের সকলকেই সঠিক ইমানদার করুন। সৎভাবে জীবন-যাপন করার তৌফিক দান করুন। হে আল্লাহ! খাজাবাবা কুতুববাগী ক্বেবলাজানকে দীর্ঘজীবী করুন। আমাদের সকলের মনের আশা পূরণ করুন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।