আলহাজ মাওলানা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দি মোজাদ্দেদি কুতুববাগী
সূরা আদ দোখান, আয়াত : ৩
“ইন্না আন্যালনা হু ফী লাইলাতিম মুবারাকাতিন্ ইন্না কুন্না মুন্যিরীন”
অর্থ : নিশ্চয়ই আমি এটি এক মঙ্গলময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয় আমিই সর্তককারী।সুতরাং লাইলাতুল বরাতের ব্যাপারে উপরোক্ত আয়াতে ইঙ্গিত রয়েছে, এটাই আমার পরীক্ষিত অভিমত।
হাদিস
ক্বালান নাবিয়্যু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইজা কানাত লাইলাতুন নিসফি মিন শাঅ্ বানা। ফা-ক্বু-মু লাইলাহা ওয়া সু-মু-ইয়াও মাহা ফাইন্নাল্লাহা তাআলা ইয়ানজিলু ফি-হা লিগুরু বিশ শামছি ইলাছ সামা ইদদুনিয়া ফায়াক্বুলু আলামান মুছতাগফিরুন ফাগফিরলাহু। আলা-মান মুসতারজিক্বুন ফাআর জুক্বহু, আলা মান মুবতালিয়ান ফাউ আফিহি। আলাকাজা আলাকাজা হাত্ত্বা ইয়া ত্লুআল ফাজর (রাওয়া হুবনু মাজাহ)।
অর্থ : রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যখন শাবান মাসের ১৫ তারিখ উপস্থিত হয়, তোমরা ওই রাত্রে বেশি করে নফল ইবাদত করিও এবং ঐ দিনে রোজা রাখিও। কেননা আল্লাহ-তাআলা ওই দিন সূর্যাস্তের সময় প্রথম আসমানে অবতরণ করে বলতে থাকেন, তোমাদের মধ্যে কে ক্ষমা প্রার্থী আছ? আমি আজ তাকে ক্ষমা করব। তোমাদের মধ্যে কে জীবিকাপ্রার্থী আছ? আমি আজ তাকে রিজিক দান করব। তোমাদের মধ্যে বিপদগ্রস্থ কে আছ? আজ আমি তার বিপদ দূর করে দিব। আল্লাহ-তায়ালা ফজর পর্যন্ত এইভাবে প্রত্যেক হাজতমান্দকে ডেকে বলে থাকেন।
হাদিস
ওয়া ক্বালা আলাইহিস সালাম, মান সামা ছালাছাতা, আইয়্যামিম মিন শাঅ্াবানা, বাআছাহুল্লাহু ইয়াউমাল ক্বিয়ামাতিন আলা না-ক্বাতিম মিন নুক্বিল্ জান্নাহ। (নাক্বালাহুবনু নুবাতাহ)
অর্থ : হুজুর (সাঃ) বলেন, যে ব্যাক্তি শাবান মাসে ৩টি রোজা রাখবে, আল্লাহ-তায়ালা তাকে বেহেশতি উটে আরোহণ করিয়ে কবর থেকে ওঠাবেন। (ইবনু মাজা)
হাদিস
ওয়াক্বালাত আয়শাতু রাদিআল্লাহু-তাআলা আন্হা মা রাআইতুহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম ফি শার্হ, আকছারা মিন্হু সিয়ামাম ফি শাঅ্বান। (মুত্তাফাক্বুনআলাই)
অর্থ : হজরত আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে শাবান মাসের মতো অধিক নফল রোজা রাখতে আমি আর কোন মাসে দেখি নাই। (বুখারী-মুসলিম)
কোরআন হাদিস পর্যালোচনা করে দেখা গেল, শবে বরাত রাত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত্রি। যে রাতে মানুষের তকদিরের হরণ-পূরণ (পরিবর্তন-পরিবর্ধন) হয়। তাই এ রাত্রিতে বিছানায় পিঠ না লাগিয়ে মাগরিব থেকে ফজর পযর্ন্ত ইবাদত বন্দেগি করে কাটাতে হয়।