আশরাফ আলী থানভী (রহ.)-এর দৃষ্টিতে ইলমে তাসাউফ শিক্ষা ফরজ হওয়ার দলিল

আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ জাকির শাহ্‌ নকশ্‌বন্দি মোজাদ্দেদি

হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা আহাম্মদ মুজ্তবা (স.)-এর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করা কি ফরজ? উত্তরে হযরত বলেছেন, হ্যাঁ, ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করা ফরয। যেহেতু আল্লাহতা’য়ালা বলেছেন, ‘ইত্তা কুল্লাহা হাক্কা তুক্বতিহি’ তোমরা আল্লাহকে ভয় করার মত ভয় কর। যার পারিভাষিক অন্য নাম তাসাউফ। এখানে ব্যবহৃত শব্দের মধ্য দিয়ে ওয়াজিব প্রমাণিত হয়। অবশ্য এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর সাহাবায়ে কেরামগণ অক্ষমতার আবেদন করায় অন্য আয়াত ‘ফাত্তা কুল্লাহা মাস্তা তা-তুম’ নাযিল হওয়ায় অনেকে একে নাকেচ বলে গণ্য করে, আগের নির্দেশরহিত সাব্যস্ত করেছেন। কিন্তু আল্লামা থানভী (রহ.) বলেছেন যে, তাফসীরের পারিভার্ষিক অর্থের প্রতি লক্ষ্য করলে রহিত হওয়ার বিষয় পরিস্কার হয় না। বরং আমার গবেষণায় এখানে পরবর্তী আয়াতের মাধ্যমে আগের আয়াতের তাফসীর বা ব্যাখা করা হয়েছে। কারণ, এর আগের আয়াত থেকে বুঝা যাচ্ছিল তাৎক্ষণিকভাবে আয়াতের বর্ণিত হুকুম অনুযায়ী আমল করা ফরজ। যা সাহাবায়ে কেরামগণ কঠিন মনে করেছিলেন। অত:পর আয়াতের তাফসির হিসাবে আল্লাহতা’য়ালা ‘ফাত্তা কুল্লাহা মাস্তা তা-তুম’ আয়াত নাযিল করে সাহাবাদের সংশয় দূর করে দেন।

(Visited 3,420 times, 1 visits today)
Share