আলহাজ মাওলানা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দি মোজাদ্দেদি কুতুববাগী
নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সর্বময় কর্তা মহান আল্লাহতায়ালা যার কোন লয় নাই, ক্ষয় নাই। আল্লাহতায়ালার সৃষ্টির অবশ্যই একটি নিগূঢ় রহস্য রয়েছে। ওই নিগূঢ় রহস্য উদ্ঘাটন করাই সত্যিকার মানুষের কাজ। যিনি প্রতিদিন কর্ম ও সাধনার বলে উক্ত পর্দা ও রহস্য ভেদ করিয়া আল্লাহতায়ালার নৈকট্যলাভ করিয়াছেন, তিনিই প্রকৃত সুক্ষ্ম জ্ঞানের অধিকারী ও মহা-মানব। আর যাহারা অক্ষম ইহা করিতে চেষ্টা করে না তারাই অমানুষ বা পশুতুল্য। মানুষ কে? পরিচয় জানতে হইলে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অবশ্যই প্রয়োজন আছে। প্রকৃতপক্ষে আত্মার আবরণটাকেই অর্থাৎ আভ্যন্তরিন আকৃতিটাকে আমরা মানুষ বলিয়া ধারণা করিয়া থাকি। কিন্তু উহার আভ্যন্তরিক রহস্য যে কি? উহা অনেকেরই অগোচরে রহিয়াছে। যারা আল্লাহর প্রত্যক্ষ জ্ঞানলাভ করিয়া আমলের সাহায্যে আভ্যন্তরিন খবরাখবর জানিতে পারেন, তারাই সৃষ্টির সেরা সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ বা মানুষ রূপধারী অলি-আউলিয়া। মানুষ যতক্ষণ আল্লাহর নিদর্শন অর্থাৎ, চিহ্ন প্রত্যক্ষ-রূপ দর্শন লাভ হইতে বঞ্চিত থাকিবে অর্থাৎ, নূরে মোহাম্মদীর রূপে উহাতে দৃষ্টিগোচর না হইবে ততক্ষণ ওই আত্মা কলূষিত। অতএব আত্মার সংশোধন করাই প্রত্যেকটি মানুষের অবশ্য কর্তব্য। যে আত্মার সংশোধন করিয়াছে সেই সফলতা লাভ করিয়াছে। আত্মার সঙ্গে নফসও জড়িয়ে আছে। আত্মার বাহনই নফস। উক্ত নফসে আম্মারাই অগণিত কু-কর্মের দাস ও আমিত্বের হিংসা ও আবর্জনায় জড়িয়ে থাকে। যে সমস্ত মানুষেরা নিজের নফসের সাথে, কু-রিপুর সাথে জিহাদ করিয়া জয়ী হইয়াছে। সে আত্মাই অনাবিল শান্তির ছায়া লাভ করিয়া অমর হইয়াছে।