কুতুববাগ আত্মার শান্তির কারখানা

রয়েল আহমেদ

একটুখানি শান্তির আশায় আমরা কত কিছু করছি। মানুষ আমরা, যে যার স্বার্থ রক্ষায় জড়িয়ে পড়ছি নানাবিধ অশান্তি আর প্রতি মুহূর্তে পাপের পথে, সরে যাচ্ছি আপন-আলোয় থেকে। সমস্ত ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমরা ছটফট করি। কোথায় গেলে একটু শান্তি পাব সারাক্ষণ তা-ই খুঁজতে থাকি। কিন্তু যতটা শান্তির চেষ্টা করছি তার থেকে বেশি অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ছি। জান্নাতে মহান আল্লাহপাক জান্নাতিদের জন্য থাকা-খাওয়াসহ সকল প্রকার সু-ব্যবস্থা রেখেছেন। কিন্তু থাকা-খাওয়া ভোগ-বিলাসের ব্যবস্থা থাকলেই কি শান্তি পাওয়া যায়? এ দুনিয়ার জিন্দেগিতে অনেকেরই বিলাশবহুল গাড়ি, বাড়ি ও থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে। তাই বলে কি তারা শান্তিতে আছে? জান্নাতে নিয়ামতগুলোর মধ্যে সব চেয়ে বড় একটি নিয়ামত হচ্ছে মানসিক শান্তি। মনের সুখই প্রকৃত সুখ। যে সুখ এ দুনিয়ায় শুধু একজন আল্লাহ অলির সান্নিধ্যে গেলেই পাওয়া যায়। সেই সুখের কারখানা হচ্ছে কুতুববাগ দরবার শরীফ। বাবাজান ক্বেবলার পবিত্র সান্নিধ্যেই মিলবে সেই শান্তির সু-বাতাস। কিন্তু আল্লাহর অলির সান্নিধ্য কি সবাই পায়? আলেমগণের জবান থেকে শুনেছি, মহান আল্লাহপাক ফিরাউনকে এ দুনিয়ায় চারটি উপহারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন যথা (১) কিয়ামত পর্যন্ত হায়াৎ (২) বার্ধক্য থেকে মুক্তি (৩) কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতার সিংহাসন (৪) কিয়ামত পর্যন্ত সুস্থ্যতা। এত বড় মহামূল্যবান পুরস্কারের প্রস্তাব পাওয়ার পরেওকি ফিরাউন ইসলামের ছায়াতলে এসেছিল? না, আসেনি। এটা নসিবের ব্যাপার, নসিবে না থাকলে তা কখনোই হয় না। নসিব যাদের ভালো, মহান আল্লাহপাক যাঁদেরকে পছন্দ করেছেন, শুধু তাঁরাই বাবাজান ক্বেবলার পবিত্র সান্নিধ্য পাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও পাবেন।

পীর-মুর্শিদ কি? অথবা কেমন? আমি জানতাম না। কিন্তু এক শুভক্ষণে মহান আল্লাহপাক অত্যন্ত দয়া করে, মেহেরবানী করে খাজাবাবা কুতুববাগীর সন্ধান আমাকে দিয়েছেন। যাঁর পবিত্র ছায়াতলে আমি পেয়েছি মহাশান্তির সন্ধান। আমার খাজাবাবা কুতুববাগীর পবিত্র মুখের দিকে তাকালে, ভুলে থাকা যায় দুনিয়ার শত কষ্ট-দুঃখ-জ্বালা-যন্ত্রণা, ফিরে পাওয়া যায় শান্তির আসল ঠিকানা। বাবাজানের পবিত্র জবান থেকে শুনেছি, বাবা, ধরতে হলে ধরার মতো ধর, মরতে হলে মরার আগে মর।, এই আমি গোনাহগার প্রায় চার বছর বাবাজানের চরণের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছি কিন্তু ধরার মত ধরতে বা মরার আগে মরতে কোনটাই সঠিকভাবে পারিনি। কিন্তু তবুও আমার মত গোনাহগারকে বাবাজান তাঁর পবিত্র চরণে ঠাঁই দিয়েছেন, এটা আমার সব থেকে বড় পাওয়া। আমি সর্বোদাই ভয়ে থাকি কখন যেন আমার কোন বেয়াদবি হয়ে যায়। কারণ, আল্লাহর অলির সঙ্গে বেয়াদবি মানেই তো নিশ্চিত ধ্বংস। আমি সব থেকে অবাক হই বাবাজান ক্বেবলার সুন্দর ব্যবহারে। আল্লাহর অলি কাকে বলে, বাবাজানের ব্যবহার না দেখলে বুঝতে পারতাম না। বাবাজানের সান্নিধ্যে এলে মনে পড়ে যায়, দয়াল নবী বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সাঃ)এর কথা। যাঁর উত্তম আচরণে কত কঠিন হৃদয় নরম-কোমল হয়ে গেছে। পরিশেষে আমার লেখার ভূল ভ্রান্তি ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে আরোও ভালো কিছু লেখার দোয়া প্রর্থনা করে শেষ করছি।

(Visited 225 times, 1 visits today)
Share