আলহাজ মাওলানা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ্ নকশবন্দি মোজাদ্দেদি কুতুববাগী
হাদিস- আন আবদুলাহ ইবনে ওমর (রা) ক্বালা আমারা নাবিয়্যু বি যাকাতিল ফিতরি ছা-আন মিন তামারি আউছা-আম মিন শারিন ক্বালা আবদুলাহ ফাজাআলান -নাসু আদিলাহুম মুদ্দাইনে হিনতাতিন” অর্থ- হযরত আবদুলাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , নবী করিম (সঃ) আদেশ করিয়াছেন ঈদুল ফিতরের ফিতরা বাবদ মাথাপিছু “এক ছা’ খেজুর অথবা এক ছা যব দিবার জন্য আদেশ করিয়াছেন। ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞ মহা পুরুষগণ উহাকে দুই মুদ্দ গমে পরিণত করে নিয়াছেন ইহাই বর্তমান বিশ্বে গৃহীত বা অনূমোদিত।অর্থ্যাৎ অর্ধ ছটাক মাথাপিছু এক সের সাড়ে বারো ছটাক হিসাবে পরিবারের কর্তা তার পরিবারাস্থ ছোট বড় এমনকি গোলামবাদীসহ সকলের এক ছা হিসাবে আদায় করিতে হইবে। ফিতরা ওয়াজিব হয় যার নিকট ঈদের দিন হিসাব নিকাশের ও খরচয়াদি আদায়ের পর এক ছা পরিমান মাল অতিরিক্ত পাওয়া যাইবে তার উপর ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব।
১নং মাসায়ালা : ঈদের দিন ছোবহে সাদেকের সময় সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয় কাজেই কেহ ইহার কিছু আগে মারা গেলেও তাহার ফিতরা ওয়াজিব হয় না । তার সম্পত্তি হইতে উহা দিতে হয় না। সাহেবে নেসাবের সুবহে সাদেকের পূর্বে কোন সন্তান জন্ম নিলে তাহার ফিতরা দিতে হবে; কিন্তু উহার পরে ভূমিষ্ঠ হইলে ফিতরা দিতে হইবে না। এইরূপে কেহ ঈদেরদিন সুবহে সাদেকের সময় নতুন মুসলমান হইলে তার উপরও ফিতরা ওয়াজিব হইবে না।
২নং মাসায়ালা : ঈদের নামাজ আদায়ের পূর্বেই সদকায়ে ফিতর দিয়া দেওয়া মোস্তাহাব, কোনক্রমে আগে দিতে না পারিলে পরে দিলেও আদায় হইয়া যাইবে।
৩নং মাসায়ালা : কেহ যদি ঈদেরদিনের আগেই রমজানের মধ্যে ফিতরা আদায় করিয়া দেয়, তাহাও জায়েজ আছে; ঈদের দিন আবার পুনরায় দিতে হইবে না।
৪নং মাসায়ালা : ঈদের দিন ফিতরা না দিলে উহা মাফ হইয়া যাইবে না । অন্য সময় দিতে হইবে।
৫ নং মাসায়ালা : ফিতরা গম বা গমের আটা বা গমের ছাতু দ্বারা দিলে পরিমাণ আশি তোলার সেরে এক সের সাড়ে বারো ছটাক, কিন্তু পুরা দুইসের বা পৌণেদুই কেজি দেওয়াই উত্তম। কেননা বেশি দিলে অধিক ছওয়াব মিলে।