আত্মার আলোর প্রতিটি সংখ্যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। খাজাবাবা কুতুববাগী কেবলাজান প্রতিটি সংখ্যায় কোরআন ও হাদিসের আলোকে যেসব মহামূল্যবান বাণী নিবন্ধ আকারে উপস্থাপন করে থাকেন, তা কেবল কেতাবি শিক্ষার উপকরণমাত্র নয়, গভীর আধ্যাত্মিকতা ও ধ্যানের ফসল। এ সংখ্যায়ও তিনি নারী-পুরুষ উভয়ের পর্দা পালনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ একাধিক নিবন্ধ উপহার দিয়েছেন। এসব নিবন্ধ পাঠে আমাদের আত্মা তথা দিল পাক-সাফ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে লেখাগুলো পাঠ করলেই হবে না, তার গভীর তাৎপর্য ব্যক্তিগত জীবনেও আমাদের অনুসরণ করতে হবে। তবেই কিছু হাসিল করা সম্ভব হবে। তা না হলে এইসব রত্ন ভান্ডার আমাদের নসিবে অধরাই থেকে যাবে। দুনিয়া এবং আখিরাতের জন্য উভয়বিধ শিক্ষাই যে নর-নারীর অনুসরণ করা উচিত, সেই চিরসত্য কেবল সিনার এলম বা সূফীবাদের দীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়েই উপলব্ধি করা সম্ভব। একুশ শতকের আধ্যাত্মিক মহাসাধক আমাদের দরদী মুর্শিদ কেবলা খাজাবাবা কুতুববাগী আমাদেরকে ইহকাল ও পরকালের সেই শিক্ষাই প্রতিনিয়ত দিয়ে থাকেন। কিন্তু আফসোস, আমরা সবাই তা ঠিকমতো অনুসরণ করতে পারি না, ধ্যান-মোরাকাবা করি না। ফলে মুর্শিদের দরবারে দিনের পর দিন এসেও অনেকেই সূফীবাদের সেই সুঘ্রাণ লাভ করতে পারিনি। আমরা যদি মুর্শিদের নির্দেশিত তরিকার নিয়মে আদব, বিনয়, নম্রতা, ভদ্রতা, মানবসেবা এবং শরিয়ত ও মারেফতের সমস্ত বিধি-বিধান ঠিকমতো অনুসরণ করতে পারি, তাহলে সূফীবাদের মধ্যে যে কী অমূল্য ঐশ্বর্য নিহিত আছে, তা উপলব্ধি করতে পারতাম। আমাদের জংধরা লৌহহৃদয়ও সূফীবাদের পরশ পাথরের ছোঁয়ায় সোনার চেয়েও দামি হয়ে যেতো। আল্লাহ্ আমাদের সেই পথে সঠিকভাবে চলার তৌফিক এনায়েত করুন। আমিন।
সম্পাদকীয় কলাম
(Visited 79 times, 1 visits today)