আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ হযরত জাকির শাহ্ নকশ্বন্দি মোজাদ্দেদি
হযরত আবু উমামাহ (রা:) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণের পর মুমিনবান্দা যেসব নেককাজের সওয়াব লাভ করে তা হল, ইলম; যাকে সে বিস্তার করেছে। নেকসন্তান, পবিত্র কোরআন শরীফ, মসজিদ র্নির্মাণ, মুসাফিরখানা তৈরি, খাল-খনন করা এবং এমন খাতে সম্পদ ব্যয় করা যে, মৃত্যুর পরও যার সওয়াব মৃত ব্যক্তির রুহে পৌঁছতে থাকে। হযরত আবু হোরায়রা (রা:) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (স:) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহতা’য়ালা জান্নাতে তাঁর নেক বান্দাদের অনেক উঁচু মর্যাদা দান করেন। তা দেখে বান্দা বলে, হে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন! এত বড় মর্যাদা আমি কীভাবে পেলাম? আমিতো এমন কোন আমল করিনি। আল্লাহতা’য়ালা বলেন, তোমার সন্তানরা তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে, তারই বিনিময়ে তোমাকে এই মর্যাদা দান করা হয়েছে। (মিশকাত শরীফ)
কিয়ামতের দিন কতিপয় লোককে পাহাড় পরিমাণ নেক দান করা হবে। এ নেক দেখে তারা বিস্মিত হয়ে বলবে, এত নেক আমাদের কীভাবে দেয়া হল? উত্তরে বলা হবে, তোমাদের সন্তানদের নেক আমলের বদৌলতে এত নেক তোমাদের দান করা হয়েছে (ফার্সি কিতাব, শাওকে ওয়াতান) হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স:) বলেছেন যে, একজন মৃত ব্যক্তি কবরে এমনই অসহায় থাকে, যেমন অসহায় থাকে একজন পানিতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তি। এই কবরবাসী সবসময় মা-বাবা, ভাই-বন্ধু ও অন্যদের দোয়া পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে। কারো পক্ষ থেকে কোন দোয়া পৌঁছলে তা তার কাছে সমস্ত দুনিয়ার চেয়েও বেশি প্রিয় মনে হয়। নিশ্চয়ই পৃথিবীবাসীদের দোয়া-মোনাজাতের ফলে আল্লাহতা’য়ালা কবরবাসীদের পাহাড় পরিমাণ সওয়াব দান করেন। নিশ্চয়ই মৃত ব্যক্তিদের প্রতি জীবিতদের হাদিয়া হল, তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। (মিশকাত শরীফ)