নুরুল আমিন বাবু
অলি-আল্লাহ, পীর-মাশায়েখদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ এবং ভালোবাসা আমার ছোটবেলা থেকেই ছিল। অলি-আল্লাহ, পীর-মাশায়েখদের আধ্যাত্মিকতা এবং কেরামতী সম্পর্কেও আমার যথেষ্ট ধারণা ছিল। মাঝে মধ্যে আমার খুব ইচ্ছে জাগত আমি যদি কোনো কামেল, মোজাম্মেল পীর বা মুর্শিদ পেতাম, তাহলে বাইয়াত গ্রহণ করতাম। এরই মধ্যে আমার ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ কোনো এক রাত্রিতে বাবজানের সান্নিধ্য লাভ করি। আমি যখন হুজুরা শরীফে গেলাম বাবাজান আমার ক্বালব দেখলেন। আমি বাবাজানকে দেখে অভিভূত হয়ে যাই। আমি বাবাজানকে যখন দেখলাম তখন মনে হল আমি আমার রাসুলের (সাঃ) প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলাম।
তখন থেকে আমি নিয়মিত দরবার শরীফে আসা-যাওয়া শুরু করলাম। বাবাজানের মহামূল্যবান নছিহতবাণী শুনতে শুরু করলাম এবং বাবাজানকে অনুস্মরণ করতে লাগলাম। আমি বাবাজানের মধ্যে পেয়েছি নম্র, ভদ্র আচরণ, ধৈর্য, আদব, বিনয়ী, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ। আমি বাবাজানের মধ্যে পেয়েছি রাসুলের চরিত্র বা আখলাক। বাবাজানের মধ্যে আমি আমার রাসুলকে খুঁজে পাই। আমি বাবাজানের সংস্পর্শে এসে আমার ব্যক্তিগত জীবনে এসেছে এক আমূল পরিবর্তন। প্রথমত আমাকে নামাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে রেখেছে বিশাল ভূমিকা। আমিত্ব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ ও গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ছোটদের প্রতি স্নেহশীল আচরণ। পরচর্চা ও পরনিন্দা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে এবং মানবসেবায় নিজেকে উদ্বুদ্ধ করতে রেখেছে বিশাল ভূমিকা। বাবাজানের কেরামতি আমি ব্যক্তিগত কারণে এবং নানান সমস্যার জন্য আমার একান্ত ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আমি প্রায় সপ্তাহ তিনেক হবে বাবাজানের সঙ্গে দেখা করতে পারছিলাম না। সপ্তাহ তিনেক পর যখন এক বৃহস্পতিবার গুরু রাত্রিতে আমার মন ব্যাকুল হয়ে উঠল বাবাজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য; কিন্তু প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমি বাবাজানের সঙ্গে দেখা করতে পারলাম না। আমি মন খারাপ নিয়ে রাত্রিতে ঘুমাতে গেলাম। ঘুমের মধ্যে বাবাজানের সঙ্গে আমার দেখা হলো। বাবাজান মুচকি হাসলেন, হাত বাড়িয়ে দিলেন হাত রেখে চুম্বন করলাম। ঠিক যেমনিভাবে বাবাজানের সঙ্গে হুজরা শরীফে সাক্ষাৎ দিয়ে থাকি। আনন্দচিত্তে আমি ঘুম থেকে উঠলাম। এর থেকে বোঝা যায় ভক্তের আশা-আকাক্সক্ষা একজন হক্কানী মুর্শিদ কতভাবেই না পূরণ করে থাকেন।