এইচ মোবারক
বিশ্বাস আর ভালোবাসার সমন্বয়ে মানুষের জীবন। এ দু’টির মধ্য হতে একটিতেও যদি ঘুণে ধরে তাহলে সেটা কোন স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হতে পারে না। বিশ্বাসের কয়েকটা স্তর রয়েছে। এক নিজের প্রতি বিশ্বাস দুই মুর্শিদের প্রতি বিশ্বাস। হিসেব করলে দেখা যায় পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী বস্তুটার নাম হচ্ছে বিশ্বাস। এটা না হলে পৃথিবীর সব কিছুই যেন মূল্যহীন। জীবনের প্রথম চোখ মেলে যখন মা’কে দেখেছিলাম তখন জানতাম না তিনিই আমার মা। মহান রাব্বুল আলামীন ছোট্ট মনটার ভিতর এমন একটা বিশ্বাসের অঙ্কুর এঁকে দিলেন যে, অনায়াসেই মেনে নিলাম তিনিই আমার মা। তাইতো পরম নির্ভরতায় মায়ের বুকে মাথা রেখে শিশুকাল কাটে আমাদের। মায়ের কোল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নিরাপদ স্থান। তেমনি মুর্শিদের দৃষ্টিও মুরিদের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রহমত। এ বিষয়টা মাত্র কিছুদিন আগেও তেমন একটা বুঝতাম না। যেদিন থেকে আমি আমার মাওলা, আমার কেবলা কাবা, নূরের পুতুল আরেফে কামেল, মুর্শিদে মোকাম্মেল, বর্তমান জামানার মোজাদ্দেদ সূফীবাদের বিশ্বপ্রচারক শাহসূফী আলহাজ মাওলানা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দি মোজাদ্দেদি কুতুববাগী কেবলাজানের সান্নিধ্য পেতে শুরু করেছি, তখন থেকেই ধীরে ধীরে বিশ্বাস আর ভালোবাসার প্রতি আমার ধারণা পাল্টাতে থাকে। আমি আমার নিজকে দিয়ে অনেক কিছু প্রমাণ পেয়েছি। প্রত্যেকের মা-ই নিজে কষ্ট করবেন কিন্তু সন্তানের শরীরে একটা ফুলের আঁচড়ও লাগতে দিবেন না। তেমনি আমার মুর্শিদ খাজাবাবা কুতুববাগী কেবলাজানের মুরিদের প্রতি স্নেহ আর ভালোবাসাও ব্যতিক্রম নয়।
যেদিন প্রথম বাবাজানকে দেখেছিলাম, কেমন যেন একটু অবাক হলাম! প্রশ্নবোধক দৃষ্টি ছিলো মনের মধ্যে তারপরেও কেন জানি বাবাজানের দিকে শুধু তাকিয়েই ছিলাম। মনের ভিতর একটা প্রশ্নটা এমন যে, এতো সুন্দর মানুষ হয় কী করে! বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না পুরো ব্যাপারটা। কেমন করে যেন সেই মুহূর্ত থেকেই নূরের পুতুল খাজাবাবা কুতুববাগীর প্রেমে পরে গেলাম। এই হল আমার নিজের উপর বিশ্বাসের ২য় স্তর। সেই থেকেই শুরু ধীরে ধীরে আমার বিশ্বাসের পাহাড় দিন দিন বেড়ে উঠছে এবং তা আত্মার আলোতে প্রকাশিত এই লেখা পর্যন্ত এসে পৌছেছে। একটা কথা মনে রাখা খুবই জরুরী আর তা হলো, আগে আমার আমিকে বিশ্বাস করতে হবে, নয়তো প্রথম কদমেই ধপাস করে পড়ে যেতে হবে। দয়াল মুর্শিদকে বিশ্বাস আর ভালোবাসার চাদরে মোড়ানোর প্রাণপন চেষ্টা করতে হবে তবেই তিনি আমার আপনার মতো পাপীদের আত্মা পরিষ্কার করে, সেখানে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিবেন। আর একটা কথা না বললেই নয়, মুর্শিদের প্রতি আত্মবিশ্বাসের সিঁড়ি যে যতটা নিয়ে যেতে পারবে, আমার বিশ্বাস দুনিয়াতে বসেই সে ততটাই স্বর্গের সুখ ভোগ করবে।
আজকের এই ছোট্ট লেখাটা উৎসর্গ করলাম আমার মহান মুর্শিদ খাজাবাবা কুতুববাগী কেবলাজানকে। যার কদমে হাত রেখে আমি বুঝেছি পরম বিশ্বাস কি, আর ভালোবাসা কি। এ যেন এক স্বর্গ প্রেমের হাতছানি যেখানে ক্লান্তিরা এসে একদমই বাসা বাঁধে না। হে মুর্শিদ আপনি আমাদের সকলকে করুণা করুন। আমিন।