চলোরে মন গুরুর পাঠশালায়…

সেহাঙ্গল বিপ্লব

আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টির পর থেকে সমাজে পাশাপাশি একসঙ্গে বসবাস করে আসছে মানুষ। পৃথিবীর কোলাহলে মানুষ আসছে আবার চলেও যাচ্ছে ইহজগত থেকে পরজগতে। এই আসা-যাওয়ার পথে ক্ষণিকের জীবন প্রবাহ অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে। কিন্তু মানুষ একসঙ্গে বসবাস করলে কী হবে? মানুষের মন তো আর একসঙ্গে বসবাস করছে না। মন সে এক অদেখা জগৎ, এর গতি টেনে ধরে দেহের ঘরে আটকে রাখা কঠিন। সে ছুটছে তো ছুটছেই আকাশ-পাতাল! কিন্তু সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য দরকার অন্তত কিছুটা স্থিরতা। সে কি আর তা রয়! এই পৃথিবীতে আমরা এসেছি আবার চলে যাচ্ছি, এই আসা-যাওয়াই কি শেষ কথা? তা-ই যদি হবে, তাহলে মানুষ সৃষ্টির কোন প্রয়োজন ছিল না। নিশ্চয়ই পরম দয়ালু আল্লাহতায়া’লা আমাদের পাঠিয়েছেন শুধু ভোগ-বিলাসের ডামা-ঢোলে মত্ত হয়ে যা ইচ্ছে তাই করে, অনিরাপদ ভ্রান্ত পথে চলার জন্য নয়। মহান আল্লাহর আদেশ-নিষেধের মধ্য দিয়ে সুস্থ ও সুন্দর মানব  সমাজ তৈরি এবং সেখানে সম্প্রীতিময় সম্পর্কের সৃষ্টি করা। এরপর এক সময় আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে ফিরে চলা অনন্ত আবাসের পথে। কিন্তু এমন শান্তিপূর্ণ সমাজ সৃষ্টি করা সাধারণ মানুষের দ্বারা কখনোই সম্ভব হয় না। কারণ তাদের মন অস্থির, এর উপযুক্ত চিকিৎসা ছাড়া সে কখনো স্থিরতা পায় না। সেই কাক্সিক্ষত মানসিক স্থিরতার জন্য প্রয়োজন আত্মিক চিকিৎসা আর এ চিকিৎসার জন্য যেতে হয় একজন আধ্যাত্মিক গুরু বা ডাক্তারের কাছে, যে ডাক্তার রুহানিভাবে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে রোগমুক্ত হবার উপদেশ দিয়ে থাকেন। সেই চিকিৎসালয়ের নাম কুতুববাগ দরবার শরীফ। যেখানে একজন মানুষ-গুরু বা পীর-মুর্শিদ রয়েছেন। বর্তমানে তিনিই পারেন সঠিক শিক্ষা দিয়ে, কাল্ব বা হৃদপি-কে এক আল্লাহর প্রেমময় নামে সদা জাগ্রত করে তুলতে। তখন ধীরে ধীরে অস্থিরতার নাগপাশ ছিড়ে, সে বুঝতে শিখে সৃষ্টি ও স্রষ্টার সম্পর্কের আসল সত্যকে। তখন তার অন্তরে ইহকালের করণীয় কর্তব্য এবং পরকালের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা তৈরি হয়। এমনই একজন আধ্যাত্মিক মহাসাধক ও আত্মার ডাক্তার হলেন খাজাবাবা কুতুববাগী কেবলজান। তিনি এই ভঙ্গুর সমাজে পাপীতাপী মানুষের আত্মা-দিল বা মনকে স্থির করার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। মহান আল্লাহতায়া’লা এমনই ঐশী ক্ষমতা দিয়ে জামানার শ্রেষ্ঠ মোজাদ্দেদ করে আমাদের মাঝে পাঠিয়েছেন কেবলাজানকে। এখন কথা হলো, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে জনম-জনম পার করা যাবে কিন্তু তাতে মুক্তি মিলবে না। তাই ইহকালে শান্তি আর পরকালে মুক্তির আশায় যারা পথ খোঁজেন তারা খুব সহজেই বুঝবেন এই বক্তব্যের মর্ম।

পৃথিবীতে আমরা একে অন্যের কত কাছাকাছি বাস করছি, একসঙ্গে চলছি ফিরছি, উঠছি বসছি, তবুু একজন আরেকজনের মনের খবর জানি না। কারণ প্রতিটি মানুষের ঘাড়ে আলাদা করে একটি মাথা, চিন্তাও ভিন্ন। তাই মতের অমিল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহতায়া’লা পৃথিবী সৃষ্টি করে মানুষের জন্য প্রায় সব কিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছেন শুধু জানা ও বোঝার জন্য। এই জানা-বোঝার সূত্র ধরেই সৃষ্টি ও স্রষ্টার মধ্যে সংযোগ সেতু গড়ে উঠতে পারে। কিন্তু আমাদের যে বিবেক আছে, সেই বিবেক সত্যের পথে সহজে জাগ্রত হতে চায় না। মন তাতে সায় না দিয়ে বরং বিবেকের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়! প্রতিটি মানুষের দুটি অঙ্গ রয়েছে একটি অন্তরঙ্গ অপরটি বহিরাঙ্গ। অন্তরঙ্গের মধ্যেই বিবেকের বাসস্থান। আর  বহিরাঙ্গে মনের দূরন্তপনা, সে শুধু মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ছে। বিবেক তাকে কোন মাধ্যম বা উছিলা ছাড়া আটকাতে পারে না। এর সঠিক পরিচর্চা ছাড়া তাকে আটকানো সবার পক্ষে সম্ভবও হয় না। মহান আল্লাহতায়া’লা এই মন বা নফসে আম্মারাকে বশ মানানোর সঠিক ব্যবস্থাও দিয়েছেন। এখন আমাদের প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব হলো খুঁজে বের করে সেই ব্যবস্থাপত্র সানন্দে গ্রহণ করা। মহান আল্লাহতায়া’লা এই ব্যবস্থাপত্র যাঁকে দান করে মানুষকে সঠিক পথের সন্ধানদাতা হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়ে থাকেন নি:সন্দেহে তিনি মহান আল্লাহতায়া’লার প্রিয়বান্দা ও বন্ধু এবং রাসুল (সঃ)-এর অনুসারী নায়েবে নবী, অলি-আউলিয়া। তেমনই এক মহান সাধক, সমাজ সংস্কারক, মানবাত্মার আধ্যাত্মিক ডাক্তার, মুরিদের পরম-বন্ধু, আমার আত্মশুদ্ধির মুর্শিদ খাজাবাবা কুতুববাগী কেবলাজান। তাঁর আদর্শ চিরসত্য, সুন্দর ও কল্যাণকর, যে আদর্শের পথপ্রদর্শক মহানবী (সঃ)। নবীজি প্রতিষ্ঠা করেছেন ইসলামের মধ্য দিয়ে সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতির সহজ-সরল পথ। সেই পথের ধুলো-বালি পরিস্কারের জন্য কালে কালে পৃথিবীতে মহান আল্লাহতায়া’লা রাসুলের (সঃ) প্রতিনিধি বা হেদায়েতের হাদী রূপে মনোনীত করেন একজন মোজাদ্দেদ। এরপর তিনিই পথহারা পথিকদের আহ্বান করেন চিরসত্য, কল্যাণ ও মঙ্গলের পথে। তাই, এ সত্যাদর্শে প্রত্যেকেরই শামিল হওয়া অবশ্য কর্তব্য। কারণ আমরা সাধারণ মানুষ কম-বেশি সবারই ভুলভ্রান্তি আছে। জানা-অজানা ভুলভ্রান্তির জন্য প্রতি পদে পদে গুনাহও আছে আর গুনাহ মাফের জন্যও দরকার একজন উছিলাকারী।

দুনিয়ায় শত প্রলোভন আর বিভ্রান্তির মধ্যে সাধারণ মানুষ সর্বক্ষেত্রে পাপ-পূণ্যের হিসেব কষে চলতে পারে না। কারণ, মানুষের মন মন্দ কাজের বাহ্যিক চাকচিক্য দেখে নেচে ওঠে। তখন মনের সঙ্গে পেরে ওঠে না, মন্দ কাজের মধ্যেই অধিক আনন্দ অনুভব করে মানুষ। মন যেতে চায় না শান্তি আর সুন্দরের পথে। অথচ এভাবে মনের লাগাম ছেড়ে দিয়ে একটুখানি শান্তির আশায় দিন-রাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে মানুষ। তবু শান্তি নামের সোনার হরিণ সহজে ধরা দেয় না। তাকে ধরতে হলে অশান্ত মনের ঘাড় ধরে আলোকিত সত্যের আহ্বান স্থলে নিয়ে যেতে হবে। আর সে পথে নিয়ে যেতে পারলেই কেবল মার্জনা পাওয়া যাবে। তকদিরে যা আছে তা-ই হবে, এই ভাবনায় নিজেকে শুধু ভাগ্যের ওপর ছেড়ে, উজানে বইঠা ঠেলে শরীরের শক্তি ক্ষয় ছাড়া আর কিছুই হবে না। এরকম দুর্বল দেহ নিয়ে উজানে খুব বেশি দূর যাওয়া মুশকিল। তাই জীবনতরী উজানে বাইতে হলে আগে শিখতে হবে চলার কৌশল। আর সেই কৌশল শিক্ষা ছাড়া স্রোতে গা ভাসিয়ে জীবন কোন এক রকম কেটে যায়। কিন্তু সময় মতো সঠিক গন্তব্যে পৌঁছা যায় না। কথায় বলে, ‘সঙ্গ গুণে লোহা ভাসে।’ আবার ‘পরশ পাথরের স্পর্শে মাটিও সোনা হয়’। আর তাই উড়ন্ত-দূরন্ত মনকে বলি, ‘চলো মন গুরুর পাঠশালায়…’ আর সেই পাঠশালা হচ্ছে ফার্মগেট কুতুববাগ দরবার শরীফ। যেখানে একজন পরিপূর্ণ শুদ্ধ মানুষ-গুরু, অন্ধকারে আলোর সন্ধানদাতা রয়েছেন। যাঁর সংস্পর্শে মানুষের অন্ধকার আত্মায় আলোর সঞ্চার হয়।

আল্লাহতায়া’লা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে উছিলা করে সৃষ্টি করেছেন দৃশ্যমান ও অদৃশ্য যা কিছু আছে সব। পৃথিবীতে উছিলা কিংবা মাধ্যম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না। দুনিয়াতে যা কিছু ঘটে, তার সব কিছুতেই উছিলার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ কথা শুধু উন্মাদ ছাড়া যেকোন মানুষ স্বীকার করবেন। আল্লাহতায়া’লা যদি খুটিনাটি সব কিছুর জন্যই কোন না কোন উছিলা রেখেছেন, তাহলে রোজ হাশরের ময়দানে বিনা উছিলায় পার হওয়া একেবারেই অসম্ভব। পৃথিবীর আদিকাল থেকেই বাহন ও বাহক এ দুই-ই ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বাহক যেকোন বস্তু বা সামগ্রী বাহনে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায় খুব সহজে। এখানে ওই বস্তু-সামগ্রী যার তিনি হলেন বাহক, যাতে চাপিয়ে বহন করে নেয়া হয় সেটা হলো বাহন অর্থাৎ-মাধ্যম বা উছিলা। যেমন, একজন রোগী চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে ছুটে যান। ডাক্তার রোগ নির্ণয়ের পর ঔষধের ফর্দো (প্রেসক্রিপশন) লিখে বলে দেন, নিয়মিত ঔষধ খেলে সুস্থ হয়ে যাবেন। এখানে ডাক্তার ঔষধের উছিলায় রোগীকে সারিয়ে তুলেছেন। আমরা জানি যেকোন ভালো-মন্দের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। তাহলে দেখা যায় ডাক্তারের মাধ্যমে রোগীর রোগ সারিয়েছেন পরম দয়ালু আল্লাহতায়া’লা এবং তাঁর উছিলা হলেন ডাক্তার এবং ডাক্তারের উছিলা হলো ঔষধ।

আমরা যে আরো একটা ভয়ঙ্কর রোগ নামের কালসাপ বহন করে চলেছি নিজেদের ভিতর এবং সেই রোগের নাম আত্মার রোগ, যে রোগের ঔষধ কিংবা ডাক্তার সব সময় সহজে মেলে না। আমাদের সবার কাছে সে খবর কি আছে? এক কথায় উত্তর না, নেই! আবার অনেকে জানেন কিন্তু এদের মধ্যে এক শ্রেণির মানুষ আছেন যারা বিশ্বাস করতেই চান না। তারা বলেন, আত্মার রোগ বলে কিছু নেই। এগুলো মানুষের বানানো বায়বীয় কথা। উছিলার কেন দরকার হবে! উছিলা আবার কী? একজন পীর-মুর্শিদ তিনিও তো মানুষ, তাকে আবার উছিলা মানতে হবে কেন? তখন মনে মনে ভাবি, আজ হয়তো শরীরের শক্তি আছে বলে বলতে পারছে এমন মিথ্যা অহঙ্কারের কথা। কিন্তু যেদিন সত্যিকারর্থেই বুঝতে পারবে, সেদিন হয়তো আর সময় থাকবে না নিজেকে শুধরে নেয়ার। আবার অনেকে আছেন এই রোগ নিয়ে পাগলের মত দিকভ্রান্ত হয়ে ছুটছে ডাক্তারের খোঁজে। কিন্তু আসল ডাক্তারের সন্ধান মিলছে না। শুধু বারবার বাহানাকারীদের কবলে পড়ে হিমশিম খাচ্ছে দিন-রাত। মন থাকে না মনের মাঝে, ব্যস্ত নিরানন্দ কাজে। গানের মধ্যে কোন এক সাধক লিখেছেনÑ ‘এক পাড়ে মন বসত করে অন্য পাড়ে বাঁধে ঘর, মনকে বলি যাস নে ওপার ঘর করে নড়বড়।’ তাই জীর্ণ দেহে অশান্ত মন আর দুর্গন্ধময় আত্মা নিয়ে কি পাড়ি দেয়া যায় পুলসিরাতের সাঁকো? এক কথায় উছিলাবিহীন একজন মানুষ পুরোপুরিই অচল। যেখানে স্বয়ং আল্লাহতায়া’লা নিজেই রাসুল (সঃ)-এর উছিলা ছাড়া কিছুই সৃষ্টি করেননি। এমন কি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল কোরআনও পেয়েছি রাসুলুল্লাহ্ (সঃ)-এর উছিলায়। সেখানে কীকরে ভাবছি, রাসুলের (সঃ) পরে এই জামানায় একজন কামেল মুর্শিদের উছিলা ছাড়া কোন উপায় আছে! অতএব, ইহলৌকিক ও পরলৌকিক দুই জগতের জন্যই চাই সঠিক উছিলা বা মাধ্যম।

সাধারণত জীবন চলার পথ রেললইনের মতো সমান্তরাল নয় যে, এক দৌড়ে পার হয়ে যাওয়া যাবে। কিন্তু খাজাবাবা কুতুববাগী কেবলাজানের সূফীবাদের শিক্ষা ওই রেললাইনের মতো সহজ ও সমান্তরাল। যে লাইনে এসে সঠিক পথের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সহজে গন্তব্যে পৌঁছা যায়। বাস্তব জীবনে শখের বশে বহু মানুষ পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ান। মহাকারিগর আল্লাহতায়া’লার সৃষ্টির অপার সৌন্দর্য্যলীলা উপভোগ করেন। আবার সে সব জায়গার মনকাড়া দৃশ্যের ছবি তোলেন। বাঁধাই করে সে ছবি টাঙিয়ে রাখেন চোখের সামনে। আহা! দেখলেই সৌন্দর্য্যরে স্নিগ্ধতায় মন ভরে যায়। দৃষ্টি নন্দন সেই সব স্থানের টানে মানুষ বারবার ছুটে যায় এক দেশ থেকে অন্য দেশের পথে প্রান্তরে। পথের নেশায় ছুটে বেড়ান পৃথিবীর কোথায় কী আছে দেখে নিতে। আবার কেউ আছেন, তার সব চেয়ে পছন্দের দেশ বা প্রিয় কোনো স্থান মৃত্যুর আগে অন্তত একবার হলেও দেখার ইচ্ছা লালন করে-করে আর দেখা হয় না। এমন অনেক অতৃপ্ত ইচ্ছার কোরাস ফেলে মানুষ চলে যায় ফিরে না আসার দেশে। আবার কারো ভাগ্যে স্বপ্ন পূরণের স্বাদ অফুরন্ত, তবু একের পর এক নতুন চাওয়া-পাওয়ার হাতছানি যেন ফুরোয় না। সুন্দরের প্রতি আকর্ষণ কম-বেশি প্রায় সব মানুষের থাকে। কিন্তু ইচ্ছাশক্তি বা চেষ্টার অভাবে এই পৃথিবীর প্রায় সবকিছুই থেকে যায় অদেখা-অজানা। তাই এর অভাবে ধীরে ধীরে স্বভাবেরও পরিবর্তন হতে থাকে, তখন তার পৃথিবী হয়ে পড়ে একটা বৃত্তে আবদ্ধ। জানালার ফাঁকে সে যেটুকু আকাশ দেখে, সেটুকুই তার কাছে একমাত্র সত্য বলে মনে হয়! কিন্তু এর বাহিরে আরো কত সত্য চলমান সে খবর তার কাছে নেই। চারপাশের কঠিন সত্যগুলো ঘুরছে ডাক বাহকের মত; প্রাপকহীন চিঠি এসে ফিরে যায়; পৌঁছে না সত্য আহ্বানের চিঠি।

(Visited 304 times, 1 visits today)
Share