শরিফুল আলম
চৈত্রের কাঠফাটা রৌদ্রে তৃষ্ণার্ত চাতক যেমন এক ফোটা বৃষ্টির আশায় প্রহর গোনে, তেমনই জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জবাসী অনেকদিন পিপাসার্ত হৃদয় নিয়ে গভীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলো। কবে আসবেন খাজাবাবা কুতুববাগী কেবলাজান হুজুর। কখন তাঁর কদম মোবারকের স্পর্শে ধন্য হবে দেওয়ানগঞ্জের মাটি। এরপর ১৮ অক্টোবর ২০১৪, রাত ১:৩০ মিনিটে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মহান আল্লাহর অলি-বন্ধু দরদী মুর্শিদ কুতুববাগী কেবলাজান হুজুর, রহমতের ডালা নিয়ে দেওয়ানগঞ্জের মাটিতে কদম রাখলেন। এর আগে গত কয়েক দিনের উত্তপ্ত আবহাওয়ার কারণে মানুষজন, গাছপালা, পশু-পাখির মধ্যে ভীষণ শুষ্ক হাহাকার বিরাজ করছে। কিন্তু আল্লাহর অলি-বন্ধু দেওয়ানগঞ্জ পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর থেকেই ধীরে ধীরে আবহাওয়া শীতল হয়ে আসতে লাগলো। জনমনে অনুভূত হতে লাগলো প্রশান্তির ছোঁয়া এবং দেখা গেল সত্যিই এটা আমার একার কথা না, সবাই বলতে লাগলেন হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের রহস্যের কথা। ওইদিন দেওয়ানগঞ্জের তরুলতা, পশু-পাখিরাও মনে হয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল! মহান আল্লাহর অলি-বন্ধুর এমন কেরামত দেওয়ানগঞ্জবাসী সত্যি উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
ক্বেবলাজানের শুভাগমন উপলক্ষে দেওয়ানগঞ্জ আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা ময়দানে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল। খাজাবাবা কুতুববাগী হুজুর আসবেন এ কথা শুনে মানুষের ঢল নেমেছিল ওই মাহফিলে। বাবাজানের সবচেয়ে বড় কেরামত লক্ষ্য করলাম, যারা একসময় ভুল করে বাবাজানের সমালোচনা করতেন, মহান আল্লাহর মেহেরবানীতে আজ তারাই পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে, কেবলাজানের সরল ভাষায় বয়ান-নসিহত শুনে নকশবন্দিয়া মোজাদ্দেদিয়া তরিকার বাইয়াতের তবারক গ্রহণ করেছেন। আল্হামদুলিল্লাহ! ওই সময় অসংখ্য মানুষকে তওবা পড়ালেন এবং তাঁর পবিত্র শাহাদাৎ আঙুল ইশারায়, তাদের যার যার বুকের বাম পাশে যেখানে লতিফায়ে কল্ব বা হৃদপি- থাকে সেখানে চিহ্ন করে দেখিয়ে বললেন, ওখানে আল্লাহর নামের জিকির হবে।’ এই জিকিরের শিক্ষা নিয়ে বাবাজান দেশ-বিদেশে সফর করছেন। কারণ, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর এই সত্য শিক্ষা অন্তরের গভীরে সযতেœ লালন-পালন না করে অনন্ত যাত্রার যাত্রী হলে, মরণের পরে শান্তির আশা পুরোটাই বৃথা। বাবাজানের এই সত্য বাণী তারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে মোজাদ্দেদিয়া তরিকার সুশীতল শান্তির ছায়ায় স্থান নিয়েছেন।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে আমার জন্মদাতা পিতার নামে আমাদের গ্রামের নাম ‘হাশেমপুর’। সেই গ্রামে আমাদের একটা ছোট্ট টিনের ঘর আছে, সেই ঘর এখন ‘কুতুববাগ খানকা শরীফ।’ সেখানে নিয়মিত আল্লাহ-রাসুলের এই সত্য তরিকার আমল ও ক্বলবের জিকির হয়। মাহফিল শেষে বাবাজান রাত প্রায় ২টায় খানকা শরীফে কদম রাখলেন। কিছু সময় অবস্থান করে বললেনÑ শরীফবাবা, এখানে আমার থেকে যেতে ইচ্ছে করছে’। শুনে খুবই আনন্দিত হলাম! আমার মতো নগন্য মুরিদের প্রতি বাবাজানের কী অসীম ভালোবাসা! ওই মুহূর্তে বুঝতে পারলাম, আল্লাহ ও রাসুল (সঃ)-এর মতোই যিনি আল্লাহর বন্ধু জামানার মোজাদ্দেদ পীর-মুর্শিদ তিনিই সত্যের সন্ধানদাতা। তাঁদের মুরিদ-অনুসারিদের প্রতি কত প্রেম-মায়া! খুশিতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। মনে হল আজ আমার স্বর্গ এই খানকা শরীফে নেমে এসেছে। সত্যিই অন্যরকম ছিল সেই রাতের দৃশ্য!
এরপর বাবাজান ক্বেবলার ভক্ত-আশেক শেরপুরের স্বনামখ্যাত ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, ইদ্রিস গ্রুপ অব কোম্পানীজ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব ইদ্রিস মিয়ার আমন্ত্রণে সানন্দবাড়ি থেকে, ঝিনাইগাতী থানার গজনী, জিহান অবকাশ কেন্দ্রে রাতে বিশ্রামের জন্য রওয়ানা করলেন। আমিও বাবাজানের সফরসঙ্গী হয়ে শেরপুরে যাই। বাবাজান অবকাশ কেন্দ্রে পৌঁছানোর কয়েক ঘন্টা আগে থেকে সেখানে ঘটতে থাকলো আরেক কেরামতি। কী আর্শ্চয ঘটনা, স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাসই করা যেত না। অবকাশ কেন্দ্রের কাছেই একটা বড় বটগাছ। হঠাৎ ঝাকে ঝাকে অগণিত মৌমাছি এসে চাক বাঁধা শুরু করল সেই গাছে। বাবাজান ওখানে পৌঁছানোর পর আমরা যতক্ষণ ওখানে ছিলাম, এই সময়ের মধ্যেই মৌমাছিরা বড় বড় আশিটা মধুচাক বেঁধেছে। কিন্তু হঠাৎ দেখলে মনে হবে, অনেক দিন ধরে এই চাকগুলোকে ঘিরে গড়ে চলেছে তাদের আহরিত সঞ্চয়ের ভিত। আমরা ওখানে পৌঁছানোর পর পরই ওখানের লোকজন বলাবলি করছিল এ কথা। পরে আমরাও কৌতূহলী মন নিয়ে দেখতে গেলাম, গিয়ে দেখি এলাহী কা-! এক, দুই, তিন করে গুনতে গুনতে প্রায় আশিটিরও অধিক চাক দেখেছি। সোবহান আল্লাহ! এলাকার মানুষজন বলাবলি করছিল যে, এত অল্প সময়ের মধ্যে কী করে এত বড় চাক বাঁধা যায়? এও সম্ভব! আমরা বসে আছি ঝাকে ঝাকে মৌমাছি আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ছে, একটু দূরে গিয়েই অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে, আবার আসছে। কিন্তু কারো গায়ে বসছে না। এ সময় হঠাৎ উপস্থিত সবাই স্পস্ট শুনতে পেলাম, মৌমাছিরা আল্লাহ! আল্লাহ! জিকির করছে। সোবহান আল্লাহ! এই দৃশ্য দেখার পর আমার মনে হল, মহান আল্লাহর অলি-বন্ধু খাজাবাবা কুতুববাগী ক্বেবলাজান হুজুর শেরপুরে আসবেন, সে কথা এই এলাকার পশুপাখি এমনকি বনের মৌমাছিরা পর্যন্ত জানতে পেরেছিল। কারণ, বিগত দিনে যেখানে একটা মৌমাছিও ছিল না, সে স্থানে এত অল্প সময়ে কিভাবে অসংখ্য মৌমাছি চাক বাধলো! আমরা যারা বাবাজানের সফরসঙ্গী ছিলাম এবং স্থানীয় এলাকাবাসীদের বুঝতে আর বাকি থাকলো না যে, এটা আল্লাহতায়া’লার তরফ থেকে তাঁর অলি-বন্ধুকে মধুময় স্বাগত শুভেচ্ছা জানানোর এক স্বর্গীয় অর্ভ্যথনা।
এরপর ঘটলো আরো এক নজিরবিহীন ঘটনা। আগেই বলেছি জিহান অবকাশ কেন্দ্রের কথা। আমরা পাহাড়ের উপরে একটা বাংলোতে বাবাজানসহ অবস্থান করছি। গভীর রাত, দূর আকাশে অগণিত তারার মেলা। সে এক অন্যরকম মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। আমরা ফজরের আজানের অপেক্ষায়। নামাজ ও অজিফা আদায় করে তার পর বিশ্রামে যাব। এমন সময় হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, বলের মত গোল, বড় একখ- আলো আকাশ থেকে জমিনের দিকে নামছে! আমাদের মধ্য থেকে একজন প্রথম দেখলো পরে সবাইকে দেখালো। তখন ওখানে পাহাড়ি গারো সম্প্রদায়েরও অনেক মানুষজন উপস্থিত ছিল। তারা এসেছেন বাবাজানকে এক নজর দেখতে। যা-ই হোক, আমরা ওই আলোর দিকে তাকিয়ে রইলাম, দেখি আলোক খ-টি একেবারে মাটির কাছাকাছি এসেছে, কিন্তু মাটি স্পর্শ না করে আবার কিছু দূর উপরে উঠে অদৃশ্য হয়ে গেল। এ কথা মুহূর্তের মধ্যে পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই দলে দলে মানুষ আসতে থাকে এবং বাবাজানের কাছে তরিকা গ্রহণ করে দোয়া নিতে থাকেন।
২০ অক্টোবর ছিল শেরপুর সদরে জেলা হাসপাতালের পাশে ইদ্রিসিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ময়দানে মাহফিল। অন্যান্য মাহফিলের মতো ওই মাহফিলে আরো হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল নেমেছিল, মাদ্রাসার বিশাল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ। শুধু মাদ্রসার বারান্দার সামনে দিয়ে সামান্য পথ রাখা হয়েছে, মঞ্চে আসা-যাওয়ার জন্যে। বাবাজান ক্বেবলার সুমুধুর কণ্ঠে আল্লাহ-রাসুলের সত্য তরিকতের বয়ান শুনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যায় মুসুল্লিরা। চারিদিকে নেমে আসে শান্ত-নিরবতা। এমনই এক অপূর্ব মুহূর্তে হঠাৎ বাবাজান বলেন, ‘ আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে সবাই বলেনÑ, আল্লাহুম্মা আমিন! আবারও হাউশ ও মহব্বতে বলেন, ‘আল্লাহুম্মা আমিন! বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের শাহী-দরবারে হাত তুলে হাজার হাজার মানুষ দুচোখের পানি ছেড়ে দেন। মোনাজাত চলাকালে কোত্থেকে হঠাৎ সুঠাম দেহের তেলতেলে বাদামি রঙের একটা ঘোড়া প্যা-েলের ভেতর। মাদ্রসার বারান্দার সামনের ওই সরু পথ ঘুরে সোজা মঞ্চের ডানপাশে এসে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে প্রায় এক দেড় মিনিট থাকার পর ফিরে গেল আসার পথে। বেরিয়ে যেতেও সময় খুব বেশি লাগেনি তার! মোনাজাত শেষে ঘোড়াটিকে আর কোথাও দেখা গেল না। এত মানুষের ভিড় ঠেলে একটা মালিকহীন ঘোড়া একেবারে মঞ্চের পাশে চলে আসার কী রহস্য! আমাদের সাধারণ জ্ঞানে তা বোঝার কথাও নয়। তবে কামেল পীর-মুর্শিদ ও জামানার মোজাদ্দেদ, আধ্যাত্মিক মহাসাধক খাজাবাবা কুতুববাগী ক্বেবলাজান হুজুরের মাহফিলে ইলমে তাসাউফের প্রখ্যাত অনেক আলেমওলামা ছিলেন। তাঁরা মনে করেন, মহান আল্লাহতায়া’লার তরফ থেকে সত্যের শক্তিবাহী স্বর্গীয় কোন দূত পবিত্র মোনাজাতে অংশ নিলেন। কারণ, আল্লাহ মহান, পরম দয়ালু। ‘আলিমূল গায়িব’ অসাধ্য বলে কিছু নেই আল্লাহর। ঘোড়াটি কার কেউ জানে না এই শহরের।
২১ অক্টোবর, মঙ্গলবার শেরপুর সদর থেকে প্রায় ৫কিলোমিটার দূরত্বে লছমনপুর গ্রাম। আজও ইদ্রিস গ্রুপ অব কোম্পানীজ-এর উদ্যোগে ‘জিহান ডেইরি ফার্ম’-এর সুবিশাল এরিয়ার মধ্যে বাবাজান ক্বেবলার ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল। সেখানে ইদ্রিস ভাইজানের বাংলো বাড়িতে রাতে বিশ্রামের ব্যবস্থা। যেহেতু বাবাজানসহ আমরা রাতেই মাহফিলস্থলে চলে এসেছি, এই সংবাদ এলাকায় ছড়াতে সময় লাগেনি। তাই সকাল থেকেই আশপাশ গ্রামের অসংখ্য মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।
দোতলা বাড়ির চারপাশে প্রায় বিস্তৃত খোলা জায়গা শুধু, বড় বড় মেহগণি গাছের সারি। তার ফাঁক দিয়ে দৃষ্টি প্রায় বহুদূর দেখি শুধু গাছ আর গাছ। বাড়ির একপাশে ফুলের বাগান। দেশি-বিদেশি হরেকরকম ফুলের সমাহার দারুণ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। যা-ই হোক, আছরের নামাজ শেষে মাহফিল শুরু হল, বাবাজান মাগরিব নামাজের কিছুক্ষণ পর মঞ্চে আসনগ্রহণ করলেন। হাজার হাজার মানুষ সমস্বরে ‘নারায়ি তাগবির আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে বাবাজানকে এমনভাবে সাদরে অর্ভ্যাথনা জানালেন যা সত্যিই চিরস্মরণীয়। বাবাজানের কাছে তারা পবিত্র কোরআন-হাদিসের মহা সত্য বাণী শুনে জীবন চলার পথে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা পাল্টে গেল। তারাও বুঝল, সেবা আর প্রেম দিয়ে মহান আল্লাহতায়া’লার নৈকট্য লাভ করা যায় সহজে। কিন্তু তর্ক আর লোক দেখানো ইবাদতে কিছুই লাভ করা যায় না।
যা-ই হোক, মোনাজাত শেষে অসংখ্য মানুষ সুশৃংখল লাইনে দাঁড়িয়ে বাইয়াত নিয়েছেন। ইদ্রিস মিয়া ভাইজান বাবাজানের বয়ানের আগে তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে, একপর্যায়ে সংক্ষেপে তাঁর কঠিন রোগ থেকে অলৌকিকভাবে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, প্রিয় এলাকাবাসী ভাইয়েরা, আপনারা কি জানতেন আমি কিছুদিন আগে ভীষণরকম অসুস্থ ছিলাম? যদি জেনে থাকেন তাহলে হাত তুলে দেখান।’ হাজার হাজার মানুষ একযোগে হাত তুললো। এরপর বলেন, আপনারা তখন যে ইদ্রিস মিয়াকে দেখেছেন, সেই ইদ্রিস মিয়া তো কবে মারা গেছে। অসুস্থ থাকাকালে একবার আয়নায় তাকিয়ে দেখি, হায়-হায়! ইদ্রিস মিয়ার জীবনবাতি শেষ! কিন্তু আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি যে ইদ্রিস মিয়া, আল্লাহর অশেষ রহমতে, সে জীবন ফিরে পাওয়া আরেক ইদ্রিস মিয়া। আর এই অসাধ্য সাধন হয়েছে যাঁর দোয়ার বরকতে, তিনি আমার দয়াল মুর্শিদ খাজাবাবা কুতুববাগী ক্বেবলাজান হুজুর। শুকরিয়া জানাই আল্লাহ-মালিকের দরবারে।
ইদ্রিস মিয়া ভাইজান প্রায় পনের হাজার মানুষের তবারক করেছেন। তবুও মনে মনে ভাবছেন, এত লোকের সমাগম তবারকে টান পড়বে কি না! মহান আল্লাহর বন্ধু খাজাবাবার উছিলায় প্রতিটি মানুষ সুশৃংখলভাবে বসে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আল্লাহর অলি-বন্ধুর মাহফিলের একটু তবারক রোগমুক্তির ঔষধ মনে করে খেয়েছেন। সবাইকে পেটভরে খাওয়ানোর পরেও দশ ডেক তবারক অতিরিক্ত রয়ে গেছে। সোবহান আল্লাহ! আমি নিজেও তবারক বণ্টনের তদারকিতে ছিলাম, তাই ব্যাপারটা আমার কাছে সত্যিই বিস্ময়কর। কারণ, যে পরিমাণ মানুষ আর তবারক, তাতে এতগুলো ডেক অবশিষ্ট থাকার কথা না। তখন ইদ্রিস মিয়া ভাইজান এসে বলেন, শরীফ ভাই, আমি তো ভেবেছিলাম তবারক টান পরে কি না! কিন্তু আল্লাহর রহমতে টান তো পড়লই না, বরং বাড়তি হল। ইদ্রিস ভাইজান এবং আমি দুজনেই বুঝতে পারলাম, একেই বলে মুর্শিদের কেরামতি।