নুরুল আমিন বাবু
কুতুববাগী কেবলাজানের সান্নিধ্যে সাত বছর পেরিয়ে আট বছরে পদার্পণ করলাম। এই সময়ে বাবাজান এর কাছে নিয়মিত আসা-যাওয়া করি। প্রথম এসেছিলাম দোয়া নেবার জন্য। বাবাজানকে দেখার পর মনে হলো, যেন রাসুল (সঃ) এর প্রতিচ্ছবি দেখছি। আমরা নবীজিকে দেখিনি, আল্লাহর অলিকে দেখে অন্তরে ভীষণ প্রশান্তি অনুভব করলাম। আর মনে মনে স্থির করে নিলাম যে, আমার দুনিয়া ও আখেরাতের প্রকৃত অভিভাবক পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ! বাবাজানের পবিত্র জবানিতে অনেক মহামূল্যবান নছিহত শুনেছি, যা আর কখনো কোন মুফতী মোহাদ্দেছ বা কোন পন্ডিত, শিক্ষাবিদের আছেও শুনতে পাইনি। বাবাজান শরিয়ত ও মারেফতের শিক্ষা দিয়ে থাকেন এবং বাবাজানের কাছে আসার পরেই জেনেছি, শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফতের সমন্বয়ে হলো পরিপূর্ণ ইসলাম। এ কথা দ্বিতীয় আর কারো কাছে শুনতে পাইনি। রাসুল (সঃ) মোরাকাবা করেছেন দীর্ঘ পনের বছর হেরা গুহায়। কিন্তু বর্তমনে শরিয়তের কোন আমলের মধ্যে মোরাকাবার প্রাধান্য পায় না। রাসুল (সঃ) এর ওফাতের পর, বেলায়েতে মাশায়েকদের জামানা শুরু হয় এবং বেলায়েতের মাশায়েখগণ এই মোরাকাবা শিক্ষা দিয়ে আসছেন। যে মোরাকাবা দ্বারা একজন মানুষ তার আপন সত্বাকে চিনতে পারেন। বাবাজানের কাছে আসার পর এই মোরাকাবার শিক্ষাই পেয়েছি। বাবাজান শরিয়তের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হুজুরি দিলে আদায় করার সাথে সাথে অজিফা আমলের শিক্ষাও দিয়ে থাকেন। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ, কর্মকা-, চালচলন, কথাবার্তা সবকিছুতেই রাসুল (সঃ) এর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বাবাজানকে দেখেছি অসীম ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতির সমাধান করেন। বাবাজানকে কখনও কোন বিষয়ে চিন্তিত কিংবা বিচলিত হতে দেখিনি। এখানেই প্রমাণ পাই আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা ইউনূসের ৬২ নং আয়াতে বলেছেন, ‘আলা-ইন্না আউলিয়া-আল্লা-হি-লা খাওফুন আলাইহিম অলা-হুম ইয়াহ্জানুন।’ অথাৎ, সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহর অলিগণের কোন ভয় নাই এবং তারা চিন্তাযুক্তও হবেন না।’ বাবাজান বলেন, ‘হিংসা মানুষের সকল পুণ্যকে খেয়ে ফেলে।’ বাবাজান সকলপ্রকার হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি পরিহার করো’, ‘অন্যের দোষ দেখার আগে নিজের দোষ তালাশ করার কথাও বলেছেন। ইসলাম কোন প্রকার কুসংস্কার কিংবা কোনপ্রকার উচ্ছৃঙ্খলতার স্থান নেই। রাসুল (সঃ) জাহিলিয়াতের যুগে মানুষকে পাপাচার, কু-সংস্কার থেকে মুক্ত করে সভ্যতার পথ দেখিয়েছেন এবং জাহেরি ও বাতেনি শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছেন সত্য ইসলাম। যে ইসলামের চারটি স্তর শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফত। বর্তমান বিশ্বে একমাত্র কুতুববাগী বাবাজানের কাছেই আছে সেই শিক্ষা-দীক্ষা, যার আদর্শ নিয়ে আমরা এই সত্য ইসলামের তরিকার অনুসারি।