এড. মীর্জা মাহাবুব সুলতান বেগ (বাচ্চু)
আমি আমার অন্তর আত্মা দিয়ে গভীরভাবে বাবাজানকে দেখতে গিয়ে যা পেয়েছি তা পাঠকদের সামনে তুলে ধরছি। প্রথমত. বাবাজান অপরের কল্যাণ সাধনের এক অন্যতম পথ প্রদর্শক। বাবা হিংসা, বিদ্ধেষ, অহংকারমুক্ত একজন পরিপূর্ণ মানবদরদী, ইসলামদরদী মহাপুরুষ হিসেবে সম্পূর্ণভাবে এক অন্যতম মাইলফলক। বাবা হুজুরের সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্বে আমার অন্তর-আত্মা দুনিয়াবি চিন্তায় এক অন্ধকার প্রলেপে ঢাকা ছিল। বুকের গভীরতম স্থান থেকে দুনিয়াবি শব্দ বের হতো সবসময়। বাবাজানের সানিধ্যে এসে সেই আত্মা এখন পরকালের চিন্তায় মগ্ন থাকে। ক্বলবে দ্বীন-ইসলামের জিকির উচ্চারিত হয়। আল্লাহ-নবী-রাসুল-পীর-আউলিয়া-মাওলানা-মাশায়েখদের কথা ভাবতে ইচ্ছে হয়। আমার অন্ধকারময় আত্মা আলোর পথ দেখতে শুরু করেছে। সবই বাবাজানের সুদৃষ্টি এবং অকৃপণ স্নেহের কারণে। আমার আরও গভীর উপলব্ধি থেকে বলছি, বাবাজান গ্লানিযুক্ত, পথভ্রষ্ট, অসহায় মানুষদের ‘সুফিবাদই শান্তির পথ’Ñ এই বাণী দিয়ে সত্য পথে আসার এবং সত্য পথে চলার সৎ পরামর্শ দিয়ে অন্ধকার পথ থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসার অপরিসীম চেষ্টার মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছেন। বাবাজানের মুখের দিকে তাকালে পাপে ভরা আত্মাও আলোকিত হয়ে ওঠে। যাঁকে দেখলে দিল থেকে আল্লাহ-রাসুলের জিকির উচ্চারিত হয়। তাঁর দর্শন ‘সুফিবাদই শান্তির পথ’ অনুশরণ করে আল্লাহর সঠিক পথের দেখা পাব বিশ্বাস করি। সে কী মুগ্ধ, অতিমাত্রায় মুগ্ধ করার মতো বিষয়। সেটি হলো বাবাজানের দরবারে যাঁরাই আসেন বাবার নিকট সবাই সমান। এই দুনিয়াবি জগতে সকলকে এক সঙ্গে সমানভাবে দেখার জন্য যে মহান আত্মার দরকার হয়, তা বাবাজানের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বিরাজমান। তাই আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি বাবাজানের সম্পর্কে এবং দরবারে উপস্থিতির সুন্দর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই। সত্য-সুন্দর আলোকিত মানুষ গড়তে, আল্লাহতায়ালা সঠিক পথ চিহ্নিত করতে নবী-রাসুলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে, দেশ জাতি এবং বিনম্র সমাজ গঠনে ‘সুফিবাদই শান্তির পথ’-এর প্রর্বক্তা আমার খাজাবাবা কুতুববাগী। অসংখ্য জাকেরের হৃদয়ের ধন, চোখের মণি, বাবাজানের নিকট আসুন, কুতুববাগ দরবার শরীফে আসুন। নতুন জীবন লাভ করুন।