আলহাজ মাওলানা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দি মোজাদ্দেদি কুতুববাগী
মানব দেহের ভিতরে দশটি লতিফা বা মোকাম আছে এ সমস্ত লতিফা বা মোকাম চেনার উপায়। ইমামে রাব্বানী কাইউমে জামানী গাউছে ছামদানী হযরত শায়েখ আহম্মদ শেরহিন্দী মোজাদ্দিদ আলফেসানি (রঃ) বলিয়াছেন যে, মানুষের দেহে দশটি লতিফা আছে কলব, রুহ, ছের, খফি, আখফা, নফছ, আব (পানি), আতশ (অগ্নি), খাক (মৃত্তিকা) ও বাদ (বাতাস)। প্রথম পাঁচটি আলমে আমরের (সূক্ষ্ম বা অদৃশ্য জগতের) লতিফা। শেষের পাঁচটি আলমে খালকের (স্থুল বা দৃশ্য জগতের) লতিফা। আলমে আমর, উক্ত জগতকে বলা হয় যাহা আল্লাহতায়ালার হুকুমমাত্রই সৃষ্টি হইয়াছিল। আলমে খালক উক্ত জগতকে বলা হয় যাহা আল্লাহতায়ালার হুকুমে ক্রমান্বয়ে বিকাশপ্রাপ্ত হইয়াছিল। আলমে-আমর আরশের উপরিস্থিত অদৃশ্য জগত, আলমে খালক আরশের নিম্নস্থিত দৃশ্য জগত।
১। কলব লতিফা- হযরত আদম (আঃ)-এর জেরে কদম। এই লতিফার রঙ জরদ বা সরিষা ফুলের ন্যায়।
২। রুহ লতিফা- হযরত নূহ (আঃ) ও হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর জেরে কদম , রঙ স্বর্ণ বা টর্চলাইটের আলোর ন্যায় দেখতে।
৩। ছের লতিফা- হযরত মূসা (আঃ)-এর জেরে কদম, রঙ সাদা বর্ণ।
৪। খফি লতিফা- হযরত ঈসা (আঃ)-এর জেরে কদম , রঙ কাল বর্ণ।
৫। আখ্ফা লতিফা- হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহি আলাইহিস সাল্লামের জেরে কদম, রঙ সবুজ বর্ণ অর্থ্যাৎ গাছের পাতার ন্যায় দেখা যায়।
৬। নফস লতিফা- কোন নবীর জেরে কদম নহে। এই নফস ‘খোদ খাহাম খোদী’ অর্থ্যাৎ কাহারো তাবে নয়, সে নিজেই নিজ। এই লতিফার রঙ মূলে সাদা কিন্তু দেখার বেলায় কেহ বেগুনী রঙ দেখে, কেহ সরিষা ফুলের ন্যায় দেখে আবার কেহ সাদা রঙ দেখে। লতিফা নফস পাক হইলে খারাপ বা কু-কাজে আর খাহেশ থাকে না বরং সর্বদা সৎ কাজের দিকে ধাবিত হয়।
উল্লেখিত ছয় লতিফা ব্যতীত আরও চারটি লতিফা আছে। ইহা মানব শরীরের মৌলিক উপাদান। এই চারটি উপাদানে মানব শরীর গঠিত। আরবীতে এই চারটি মৌলিক পদার্থকে ‘আরবা আনাছের’ বলে। ইহাদের নাম-
(ক) আব’ অর্থ পানি এই লতিফার রঙ নীল বর্ণের
(খ) আতশ’ অর্থ অগ্নি এই লতিফার রঙ কালো বর্ণের
(গ) খাক’ অর্থ মাটি এই লতিফার রঙ ধানী বর্ণের
(ঘ) বাদ’ অর্থ বায়ু এই লতিফার রঙ সাদা বর্ণের।
প্রকাশ থাকে যে, মোরাকাবাকারী যখন মোরাকাবা করিবে তখন খেয়াল করিবে ওই সকলের মধ্যে অর্থ্যাৎ আব, আতশ, খাক ইত্যাদির মধ্যে যত প্রকার দোষণীয় জিনিস রহিয়াছে, উহা সব দূর হইয়া যাবে।
১। কোররায়ে বাদের খাছিয়াত, কু-চরিত্র কু-খায়েশ ও কু-চিন্তা ইত্যাদি। মোরাকাবাকারী মোরাকাবা করার সময় খেয়াল করিবে, বাতাসের ভিতরে যত প্রকার দোষ আছে, তাহা সমস্তই দূর হইয়া যাবে।
২। কোররায়ে নারের খাছিয়াত,কিনা, হিংসা, বোকজ ও ক্রোধ ইত্যাদি। মোরাকাবাকারী মোরাকাবার সময় খেয়াল করিবে আমার অন্তরের ভিতর যত রকম দোষ আছে, তাহা সমস্তই ফয়েজের শক্তিতে দূর হইয়া যাইতেছে।
৩। আবের মোরাকাবার সময় খেয়াল করিবে, আমার কোররায়ে আবের ভিতরে যত প্রকার খারাপী আছে উহা সব দূর হইয়া যাইতেছে।
৪। মাটির মোরাকাবার সময় খেয়াল করিবে আমার কোররায়ে খাকের ভিতর যত প্রকার খারাপী আছে, উহা সব দূর হইয়া যাইতেছে।
কুরআন হাদিসের কোথায় এগুলা পাইলা??
কুরআন হাদিসের কোথায় এগুলো পাইলা??
আসসালামু আলাইকুম।
(১)আলা হজরত(রহঃ) এর ফাতাওয়া রেজবিয়া, ২৬ খন্ড,পৃঃ৫৮৫ তে আছে চিঠির মাধ্যমে মুরিদ হওয়া যাবে৷
(২)সরাসরি কথা বলার যে হুকুম চিঠির মাধ্যমে সেই একই হুকুম(হিদায়া, ৩ খন্ড,পৃঃ২৩)
তাই এখান থেকে জানা গেলো মুরিদ হওয়ার জন্য সামনে থেকে বসে সরাসরি হাতের উপর হাত রেখে বাইআত গ্রহণ করা জরুরি নই।আর না-মুহরিম মহিলা তো হাতের উপর হাত রাখতেই পারবে না৷অবশ্য গায়েবানা ভাবে বাইআত করা যাবে৷ এখান থেকে জানা গেলো যে whatsapp+mobile call+facebook messenger+Letter এর মাধ্যমে সবাই বাইআত হতে পারবে।বিভিন্ন দেশ থেকে এই ভাবে internet এর মাধ্যমে বাইআত হওয়া যাবে।
আপনারা আপনাদের web-site এ online bayat এর system রাখেন৷ আমি ইন্ডিয়া থেকে বাইআত হবো online এ৷ এই ভাবে online এ সবাই বাইআত হবে৷ যারফলে মুরিদ বেশি হবে এবং সকলে সওয়াব এর অধিকারি হবে৷ আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আপ্নারা তাড়াতাড়ি এই পদ্ধতি চালু করেন।
আল্লাহুম্মা সল্লি আলা সাইয়িদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়াসিলাতি ইলায়কা ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লিম
প্রিয় লেখক, আপনি উল্লেখ করেছেন যে “পানির রং নীল & বাতাসের রং সাদা”
কিন্তু দলিলে যে বলছে,বাতাসের রং সবুজ এবং পানির রং লাল।
যদিও আমি একজন নগন্য পথিক,তবুও শাইজির কাছে আশা রাখছি দয়া করে এই বিরোধটা একটু মিমাংশা করবেন।
দয়াল,
দয়াল, ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়